জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ভাইয়েরা মিলে  ঝরালো আরেক ভাইয়ের রক্ত

সাতকানিয়া প্রতিনিধি 
সাতকানিয়ায় জমিজমার ভাগবাটোয়ারার বিরোধে অন্য ভাইয়েরা মিলে এক ভাইয়ের মাথা ফাটাল।
২৪শে আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় উপজেলার কেঁওচিয়ার ৯নং ওয়ার্ড মাদার বাড়ি এলাকায় শামশুল হক ভান্ডারীর ছেলেদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
আহত মহিউদ্দিন একই এলাকার শামসু ভান্ডারীর ছেলে।
জানাযায়,মাদার বাড়ির শামসুল হক ভান্ডারীর ৩ছেলে মহিউদদীন, শহিদ,সেলিমদের পৈতৃক জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এক পর্যায়ে তাদের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদেরও ডাক পড়েন,পরে ইউনিয়ন পরিষদে সালিশী বৈঠকের জন্য গত বৃহস্পতিবার পূর্বনির্ধারিত ভাবে দিনক্ষণ ঠিক ছিল।
কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো:ওসমান আলী ব্যবসায়িক কাজে কক্সবাজার থাকার কারণে বৈঠকটা আর হয়নি,এদিক একই সময়ে সেলিম আর শহিদ তাদের শশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজন এনে তাদের আপন ভাই মহিউদ্দিনকে মারধর করা শুরু করেন এক পর্যায়ে দা-ছুরি নিয়েও আঘাত করা হয় মহিউদদীনকে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
মহিউদ্দিনকে বাঁচাতে তার বন্ধু একই এলাকার সাইফুল ছুটে গেলে সাইফুলকে মারধর করে তার পকেটে থাকা ৫০হাজার টাকা নিয়ে ফেলার দাবী করেন মহিউদ্দিনের বন্ধু সাইফুল।
এদিকে অভিযুক্ত মহিউদ্দিনের বড় ভাই মো:শহিদ বলেন,আমাদের পরিষদে বৈঠক ছিলো সেটা সঠিক তাই আমি পরিষদে বিচারের আশায় বসা ছিলাম, কিন্তু বাড়ি থেকে আমার বাবা আমাকে কল করে যে আমার ছোট ভাই মহিউদদীন ও সাইফুল মিলে আমার বাবাকে দরজা বন্ধ করে আটকে রাখেন।
তখন আমি ঘরে গিয়ে দেখি মহিউদ্দিন আর তার বন্ধু সাইফুল ওখানে বাবাদের সাথে তর্কাতর্কি করে,এদিকে মহিউদ্দিনের মাথায় কে আঘাত করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,মহিউদ্দিন সবার সামনে নিজে নিজেই দেয়ালে মাথা ফাটিয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো:মহসিন বলেন-তাদের পারিবারিক ঝামেলার একটা বৈঠক ছিলো পরিষদে তবে চেয়ারম্যান মহোদয় না থাকার কারণে ওটা আর হয়নি তবে মারামারির সময় আমি ছিলাম না কিন্তু শুনেছি।
এদিকে আহত মহিউদ্দিন ও সাইফুল বলেন,বৈঠকের আগেই আমার ভাই শহিদ আর সেলিম তাদের শশুরবাড়ির লোকজন মিলে আমাকে দা-ছুরি নিয়ে আঘাত করেন এবং আমার বন্ধু সাইফুল বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও মেরে তার পকেটে থাকা টাকা পয়সা লুঠ করে নিয়ে গেছে,এবং বাড়িতে থাকা আমার মোটর সাইকেল ভাংচুর করছে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে থানায় এজাহার জমা করেছি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিব।
এদিকে বৈঠকের কথার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে কেঁওচিয়ার চেয়ারম্যান ওসমান আলী বলেন,হ্যাঁ বৈঠ ছিল সেটা সঠিক কিন্তু বৈঠকের আগেই তারা মারামারি করে লন্ডভন্ড করে ফেলছে সব,তবে তারা এখনো চাইলে আমি স্থানীয় ভাবে সমাধান করতে পারি যেহেতু ভাইয়ে ভাইয়ের ঝামেলা,আর না হলে তারা মামলা করলে মামলার গতিতে চলবে।
তবে আমি ইতিমধ্যে তাদের ঝামেলা মিটমাটের জন্য ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহাব মিয়াকেও ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।
মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.