হুমকি দিয়েই টিনের বাউন্ডারী উপড়েঁ ফেলার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

সাতকানিয়ার এওচিয়া-

 

সাতকানিয়া প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় জোর পূর্বক ক্রয়কৃত জমি অবৈধভাবে দখল করার হুমকির অভিযোগ ওঠেছে।

মঙ্গলবার (৫ই সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার  এওঁচিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাফর ডাক্তারের বাড়ির মো: ফারুক বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একই এলাকার নজির মুন্সির বাড়ির ফৌজুল কাদের চৌধুরী, মো:আজাদ, মো:ইসহাক ও মো: কফিল এর বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

 

সাতকানিয়া থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো: ফারুকের ক্রয়কৃত জায়গায় টিনের ঘেরাও দেওয়া হয়েছে। সেখানে গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিবাদীরা দা, রড় ও কিরিচ নিয়ে জায়গার ঘেরাও ভেঙে ফেলে দখল করার অপচেষ্টা চালায় এসময় বাদী মো: ফারুকের বয়োবৃদ্ধ মাকে মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে।

 

সাতকানিয়া থানার অভিযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই সালাম বলেন, হ্যাঁ আমি এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি,এই বিষয় নিয়ে এলাকায় তদন্তে করতে যাব।
তবে বাদী নিজেই অভিযোগ দিয়প আপাতত তদন্ত না করার জন্য বলেছে তাই যাওয়া হয়নি তবে আজকে যাব যেহেতু দখলবেদখলের বিষয় আসছে।

এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো:সেলিম বলেন,ফারুক আজাদের বড় ভাই বশির থেকে ঠিকমত জায়গা খরিদ করেন, যেটা বশিরের নামে বিএসও আছে সেই মত ফারুকের নামেও বিএস সৃজিত নামজারী খতিয়ান হয়।

আর আমাদের উপস্থিতিতে বশিরের সম্মতিক্রমে ফারুক পরিমাপ করে এক গন্ডা জায়গা দখল বুঝে নিয়ে টিনের ঘেরাবেড়া দিয়ে ভোগদখলে আছেন।তবে শুনছি রাতে ভাংচুর করা হয়েছে, আমি ভাংচুর করার জায়গা পরিদর্শনে যায়নি তবে ঘটনাস্থল দেখতে যাব।

 

ইউপি সদস্য মো:সেলিম আরো বলেন, এই কাজটা যারা করবে করুক আমি চাই এটার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

এবং এই বিষয়ে বিরোধ আছে আজাদদের সাথে আমি নিজেই আজাদদের সাথে কথা বলে পরিষদে আসার জন্য বলেছি বহুবার, তবে তারা আমার কথা না মেনে পরিষদে কিংবা কোথাও কোন বৈঠকে আসেননি।

অপরদিকে অভিযুক্ত আজাদ বলেন,আমাদের বাবা ১৯৬৩সালে একজনকে বিরোধীয় জায়গাটা বিক্রি করে দিছে ওটা আমরা কোন ভাইয়েই পাচ্ছিনা তবে বাবা যাকে বিক্রি করছে তার নামে বিএস না হয়ে আবারো বায়ার নামে বিএস থেকে যাওয়ার কারণে আরেকজনকে ১৯৭৮সালে বিএস মোতাবেক বিক্রি করেন, ওখান থেকে বড় ভাই এখন ফারুককে বিক্রি করার কারণে আমরা পারিবারিক ভাবে একটু সমস্যায় আছি সেটা সত্য,তবে আমরা ফারুকের দেয়া টিনের বেড়া গভীররাতে ভাংচুর করিনি,এরকম অভিযোগটা আসলে আমাদের সাথে যায়না।

আজাদ আরো বলেন মনে হচ্ছে ফারুক গভীর রাতে যেমন টিনের বেড়া দিয়ে দখল করেছেন ঠিক তেমনি টিনের বেড়া আবার গভীর রাতে উপড়েঁ ফেলে আমাদেরকে কোন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পায়তারা চালাচ্ছে।।

 

আমরা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছালেহ সাহেবকে বলেছি ওনি আমাদেরকে পরিষদে যেতে বলেছেন আমরা সেই বিচারের আশায় আছি।

চেয়ারম্যান কাগজপত্র দেখে যে বিচারটা করে দিবেন আমরা সেটা মেনে নিব।

এদিকে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে সাতকানিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা অভিযোগকারী মো: ফারুক বলেন,আমার মাকে বার বার টিনের বেড়া তোলে ফেলবে এবং ভাংচুর চালাবে এমন প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছিলো আমার বায়া বশরের ভাই আজাদ, তাই গতরাতের এই লুঠপাট ও ভাংচুরের কাজ আজাদ গং ছাড়া আর কেউ করেনি।

এদিকে সরেজমিনে গেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা গভীররাতে টিনের ঘেরাঁবেড়া ভাংচুরের আওয়াজ শুনলেও কাউকে দেখেননি বলে জানান।

স্থানীয়দের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ফারুকে জায়গা পরিমাপ করে ১গন্ডা জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবী করেন জায়গার পরিমাপক সার্ভের মো:আব্দুল কাদের -তিনি বলেন,সকল কাগজপত্র আপডেট গ্রহীতা ফারুকের তাই পরিষদের ইউপি সদস্যের পরামর্শক্রমে আমি সবার সম্মুখে আইনগত ভাবে ফারুককে তার দাতা বশিরের দলিল ও খতিয়ান পর্যালোচনা পূর্বক বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

 

লুৎফর রহমান নামে এওচিয়ার এক বাসিন্দা বলেন, মূলত আজাদরা সংঘবদ্ধ ভাবে গভীররাতে এই কাজ করেছেন এটা যে কেউ বলবে, কারণ আজাদের ভাই বশির থেকে জায়গা কেনার পর থেকেই ফারুকের সাথে তাদের বিরোধ ঘটে।

 

স্থানীয় লুৎফর  আরো বলেন, তারা শুধু ফারুকের টিনের ঘেড়াবেড়া ভাংচুর করেননি তার টিনের বেড়া এবং পাকা পিলারগুলি স্পট থেকে অন্তত ২০০ফুট দূরে মসজিদের পুকুরের ভেতর ফেলে দিছে।

 

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.