সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
সাতকানিয়ার কেরানীহাটের অলকেয়ার হাসপাতালে অন্যান্য সাধারণ রোগীদের পাশেই ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন সাতকানিয়া সাংবাদিক ফোরামের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক মিনহাজ বাঙালি। ডেঙ্গু রোগী হলেও তার বিছানায় নেই মশারি। আর একজনের মশারি টানানো থাকলেও তিনি মশারি গুটিয়ে বিছানায় শুয়েছিলেন।
হাসপাতালে মশারির ব্যবস্থা থাকলেও রোগীদের সরবরাহের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় অন্য রোগীরা ডেঙ্গু সংক্রমণের আতঙ্কে রয়েছেন।
সাংবাদিক মিনহাজ বাঙালি বলেন, ‘সকালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছি। কর্তৃপক্ষ মশারি না দেয়ায় টাঙানো হয়নি।
তাঁর পাশে চিকিৎসা নেওয়া ডায়রিয়া রোগী আব্দুল জলিল বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মশারির ভেতর থাকলেই ভালো হয়। আমরা আতঙ্কমুক্ত হয়ে সেবা নিতে পারি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে নজরদারি করা উচিত।’
ওই রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজন বলেন, কে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সেবা নিচ্ছে বোঝার উপায় নেই। সাধারণ রোগী যেভাবে সেবা নিচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্তরাও মশারি না টানিয়ে সেভাবে সেবা নিচ্ছে। এটা হওয়া মোটেই উচিত নয়। তাদের জন্য একটি আলাদা ওয়ার্ড থাকলে ভালো হতো।
এ বিষয়ে কথা বলতে ওই হাসপাতালে কর্তব্যরত কোনো চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। রিসিপশনে গিয়ে জানতে চাইলে ডাক্তার কিছুক্ষণ পর আসবে বলে জানিয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মশারি ব্যবহার করা অবশ্যই দরকার। ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে একটি এডিস মশা কামড় দিয়ে যদি ওই মশা নতুন করে কাউকে কামড় দেয় তাহলে ডেঙ্গু সংক্রমণের শঙ্কা থাকে।