চাঁদাবাজির মামলা করায় হত্যার হুমকি ইউপি সদস্যের

মাতলামিরও অভিযোগ ওঠেছে তার বিরুদ্ধে

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি 

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ঘটনায় করা মামলার বাদীসহ পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য জমির হোসেনসহ কয়েকজনকে আসামি করে আনোয়ারা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পশ্চিমচাল এলাকায়।


অভিযোগকারী নুর বেগম জানান, তার বৃদ্ধ স্বামী ছৈয়দ নুর চাঁদাবাজি ও হুমকির শিকার হয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর থেকে পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মারধরের চেষ্টা করা হচ্ছে। গত সোমবার রাতে ঘরের বাইরে একা পেয়ে নুর বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন এসে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে তার স্বামীকে চাপ দিচ্ছে ইউপি সদস্য জমির ও তার সহযোগীরা। মামলা তুলে না নিলে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে স্বামীসহ পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

চাঁদাবাজি মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট ছৈয়দ নুর তার বসতভিটায় ঘর নির্মাণ করতে গেলে ইউপি সদস্য জমির হোসেন ও তার সহযোগীরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই দিন রাতে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে পাকা সীমানা প্রাচীর ভেঙে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছৈয়দ নুর বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। এতে ইউপি সদস্য জমির হোসেনসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইউপি সদস্য জমিরের বিরুদ্ধে জায়গা দখল, চুরি, চাঁদাবাজি, মাতলামি ও নারীদের শ্লীলতাহানিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এরপরও রহস্যজনক কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

ইউপি সদস্য জমিরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন অভিযোগ করে ছৈয়দ নুর বলেন, গত আগস্ট মাসে জমিরের বিরুদ্ধে আমি চাঁদাবাজি মামলা করেছিলাম। এই মামলার তদন্ত করতে আদালত আনোয়ারা থানা পুলিশকে দায়িত্ব দেয়। তবে এখনো পর্যন্ত পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠায় নি।

জানতে চাইলে সব অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র দাবি করে বারশত ইউপি সদস্য জমির হোসেন বলেন,আমার সম্পর্কে এলাকাবাসীর কাছে তদন্ত করে দেখেন। তারাই ভালো জানবেন। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

অভিযোগ হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহম্মদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.