নিজস্ব প্রতিবেদক
সাতকানিয়ায় ডলুব্রীজের উত্তর পাশে ‘গাউছে পাক হোটেল’ জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি)সাতকানিয়ার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন সাতকানিয়া পৌরসভার দক্ষিণ রামপুর ১নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ শাকিল (৩১)। তিনি ওই এলাকার আবু তালেব এর ছেলে।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, সাতকানিয়ার সতি পাড়া ৩নং ওয়ার্ড তজুর বাপের বাড়ীর মৃত নবী কাশেমের ছেলে মোঃ সাঈদ (৫০), মোঃ মঈনুল প্ৰঃ মনির (৩৮), মোঃ জসিম উদ্দিনসহ (৪২)অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন। তারা সকলে দীর্ঘদিন যাবৎ ভাড়ায় চালিত মো. শাকিলের ‘গাউছে পাক হোটেল’ উচ্ছেদের হুমকি দিয়ে আসছে।
লিখিত অভিযোগে তিনি আরও জানান, সাতকানিয়া থানাধীন ডলুব্রীজের উত্তর পাশে স্থিত দোকানটি আমার পিতা আবু তালেব বিগত ২০০০ইং সালে জনৈক সাইদুর রহমান দুলাল হইতে ভাড়া নিয়া উক্ত দোকানটি গাউছে পাক হোটেল নামকরণ করিয়া আমরা অদ্যাবধি পর্যন্ত পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। উপরোক্ত বিবাদীগণ দীর্ঘদিন যাবৎ আমার পিতার ভাড়া নেওয়া উক্ত দোকানটি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করিয়া আসিতেছে। উক্ত বিবাদীগণ প্রায় সময় আমাদের দোকানে আসিয়া আমাদের দোকানটি ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি প্রদান করিত। বিগত ২০১৯ইং সালে বিবাদীগণ আমাদের দোকানটি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করিয়া দোকানে লুটপাট করিলে আমি বাদী হইয়া বিবাদীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি। যাহা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। এমতাবস্থায় অদ্য ২০/০১/২০২৪ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় উপরোক্ত বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাতনামা হাতে গাছের লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি নিয়া আমাদের দোকানটি জোরপূর্বক দখল করার উদ্দেশ্যে দোকানের তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করিতেছে সংবাদ পাইয়া আমি ও আমার পিতা আবু তালেব আমাদের দোকানে গিয়া বিবাদীদেরকে বাধা প্রদান করি। ঐসময় বিবাদীগণ আমাদের সাথে কথা কাটাকাটি সহ ঝগড়া বিবাদ করে এবং আমাদের দোকানটি বিবাদীদের মর্মে দাবী করে। তখন আমরা প্রতিবাদ করিলে ১নং বিবাদী আমার চোখ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আমার বাম চোখে স্বজোরে ঘুষি মারিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। ২নং বিবাদী আমার নাকের মধ্যে স্বজোরে ঘুষি মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে। ঐসময় আমার পিতা আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করিলে ৩ ও ৪নং বিবাদীদ্বয় আমার পিতাকে এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি মারিয়া আমার পিতার বুকে, কোমরে সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে বেদনাদায়ক নীলা ফুলা জখম করে। আমাদেরকে মারধর করার সংবাদ পাইয়া আমার ভাই মোঃ শহিদ (২৭) আমাদেরকে বাঁচানোর জন্য আগাইয়া আসিলে ৪নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ আমার ভাইকে এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি মারিয়া তাহার শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলা ফুলা জখম করে। আমাদের সকলের ডাক চিৎকার শুনে সাক্ষীগণ সহ আশপাশ হইতে লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগণ প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে যে, উক্ত ঘটনার বিষয় নিয়া বেশি বাড়াবাড়ি করিলে কিংবা কোথাও কোন অভিযোগ বা মামলা করিলে আমাদেরকে পুনরায় মারধর করিবে, মিথ্যা মামলায় জড়িত করিবে মর্মে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় আমি ও আমার পিতা সাতকানিয়া সরকারি হাসপাতালে গিয়া চিকিৎসা গ্রহণ করি। আমি উক্ত ঘটনার বিষয়টি আমার এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবহিত করিয়া এবং চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় থানায় অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
এদিকে সাতকানিয়া থানা পুলিশ জানান বিষয়টা আইনগত ভাবে পদক্ষেপ এর জন্য প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে স্থানীয়সূত্রে জানা যায় দোকানটি আদালতের রায়ও আছে শাকিলদের পক্ষে।