বাঁশখালীতে বসতভিটা দখলের অভিযোগে মামলা, ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর ঘরে অগ্নিসংযোগ-লুঠপাট

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ 

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়ায় জোরপূর্ব বসতভিটা দখল, নির্মাণসামগ্রী লুণ্ঠন, শ্রমিকদের মারধর ও হত্যার হুমকির ঘটনায় বাদীপক্ষ এজহারনামীয় ৯জন কে আসামী করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার দিবাগত রাতে প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে পুনঃরায় আগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুঠ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মামলার বাদী শাহ জাহান বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করায় আমি এতিম সন্তানদের নিয়ে আমার স্বামীর ত্যাজ্য বিত্ত বসতভিটায় বসবাস করে আসছি। আমার স্বামীর বসতভিটায় দুই তলা পাকা ভবন নির্মাণ করি। একই এলাকার মৃতু নুরুল হুদার পুত্র মাহমুদুল ইসলাম (৪৫), শহিদুল ইসলাম (৩৫), আব্দুল ওয়াজেদ (৩০), আব্দু নুর (২৮) সহ দলবল ও কিশোরগ্যাং নিয়ে আমার স্বামীর বসতভিটা জোর পূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে বসতভিটার চারদিকে বাউন্ডারি দেওয়াল নির্মান কাজ করলে আসামীগণ শ্রমিকদের উপর হামলা করে। আমাদের গুরুতর জখম করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এরই প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ৯ জনকে আসামী করে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করি।

এ ঘটনায় মামলার অন্যতম আসামী শহিদুল ইসলাম (৩২) কে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারী) রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীগণ রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক ৪টার দিকে আমার বসতঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালায়। বাড়িতে থাকা নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত মালামাল ও ইলেকট্রনিক্স মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন বাদীপক্ষের শাহ জাহান বেগম।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন ভোর রাত ৪টার দিকে নির্মিত পাকা ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন জ্বলতে দেখি। পরে এলাকার লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন তারা।

এ ঘটনার তদন্তকারী বাঁশখালী থানার এসআই মো. ফারুখ বলেন, ‘পুনঃরায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামী ও তাদের লোকজন অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুঠের খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমদ বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

 

মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের
বাঁশখালী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
০১৮২৪৯৬৪২৬৭
১৯.০২.২৪ খ্রিঃ

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.