বাঁশখালী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
সিজারিয়ান অপারেশনের সময় চিকিৎসকের ভুলে শওকত আরা আরা বেগম (৩০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮ টায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ শিশু জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার রাতে (১৫ মার্চ) প্রসূতি শওকত আরা বেগম এর ছোট বোনের স্বামী এস.এম অলি উল্লাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার নিজস্ব ফেইসবুকে (বাঁশখালীতে ডাঃ রুমি দাশের ভুল চিকিৎসার কারণে আমার আপুর মৃত্যু হয়,ওনি সার্জন না হয়ে ও গণহারে সিজার করে, সবাই ওনার থেকে সাবধান থাকবেন) বলে পোস্ট করলে বিষয় টি সবার নজরে আসে।
জানা যায়, বাঁশখালীর সাধনপুর সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী গর্ভবতী হলে বাঁশখালী গুনাগরী মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ডাঃ রুমি দাশের কাছে চিকিৎসা নিতে যান। পরে ডাক্তার রুমি দাশ তাকে সিজার করা লাগবে বলে ৩০ হাজার টাকা কন্টাক্টের মাধ্যমে চট্টগ্রামস্থ পাঁচলাইশ শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় চিকিৎসক ডা. রুমি দাশ শওকত আরাকে সিজার করাতে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন শওকত আরা বেগম । পরে বিকাল ৩ টার দিকে তার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে অতিরিক্ত ব্লেডিং হয়ে পড়লে তাকে পুনরায় ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে থাকা অবস্থা গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮ টায় তার মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া শওকত আরা বেগম এর ছোট বোনের স্বামী এস এম অলি উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, সন্তান জন্ম নেওয়ার পর দীর্ঘ সময় পার হলেও আমার আপা শওকত আরাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হচ্ছিল না। পরে বিকাল ৩টার দিকে প্রস্রাব আটকিয়ে গিলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। যার ফলে পরবর্তীতে আমরা তাকে পুনরায় ম্যাক হসপিটালে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখা অবস্থায় আমার আপুর মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি ওনার ভুল চিকিৎসায় আমার আপুর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক রুমি দাশের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন পুরোটা বক্তব্য ভিত্তিহীন। অপারেশন এর ১ ঘন্টার মধ্যেই রোগীকে কেবিনে দেয়া হয়। ১টি মেয়েসনতান ভুমিষ্ট হয়। কোন অতিরিক্ত রক্তক্ষরন ও হয়নি। অপারেশনের ৪ ঘন্টা পরে রোগী খাবার ও খায় । অপারেশন এর ৬ ঘন্টা পরে প্রস্রাবের ইনফেকশন জনিত জটিলতার কারনে তার সেপটিসিমিয়া ডেভেলাপ করে।তখন আইসিইউ তে সিফট করার পরে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। তার প্রেসার, পালস , ইউরিন আউটপুট সবকিছু ঠিক হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ সকালে হার্ট এটাক হয়ে রোগী মারা যায়।