এবার বাঁশখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী আটকে গেলো ধর্ষনে

 

বাঁশখালী প্রতিনিধি

নারী ও শিশু র্ধষণ মামলায় বাঁশখালীর কয়েক ডজন মামলার আসামী মোঃ সেলিম (৪৫) অবশেষে নিজ বাড়ী বৈলছড়ী ইউপির পশ্চিম চেচুরিয়া ঘোনাপাড়া থেকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামী চন্দনাইশ জাফরাবাদ বৈলতলী মুহুরী বাড়ী/ সাইম্যার বাড়ী এলাকার বশির আহমদের পুত্র নজরুল ইসলাম(৪০) বর্তমান ঠিকানা বাকলিয়া থানার আবদুস ছোবহান রোড়,আহমদ বাড়ীতে ভাড়া থাকতেন। তার ভাড়া বাসায় ভিকটিম জুলেখা বেগম ৪-৫ বছর পূর্বে মাসিক বেতনে কাজের বুয়া হিসেবে কাজ করতেন। সেই সুবাদে ভিকটিমের সাথে আসামীর পরিচয় । ভিকটিমের স্বামী কক্সবাজার জেলায় টমটম চালক। স্বামীর সহিত ভিকটিমের সর্ম্পক স্বাভাবিক না থাকায় আসামী ভিকটিমের প্রায় সময় খবরা খবর নিতেন। এক পর্যায়ে একে অপরকে বোন-ভাই হিসেবে ডাকতেন। প্রায় সাহায্য সহযোগীতা করতেন এবং দেখা করিতে বলিতেন। উক্ত সর্ম্পকের জের ধরে গত ২৭ র্মাচ ভিকটিমের সহিত আসামীর দেখা হয় এবং আসামীর স্ত্রী সহ দাওয়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। পরক্ষনে পুরানো সম্পর্কের কারণে ভিকটিম রাজি হয়ে দাওয়াতে যাওয়ার আগ্রহ করে সিএনজি যোগে দু জনে দাওয়াতের উদ্দ্যোশে বের হন। প্রতিমধ্যে কিছু দূর যাওয়ার পর আসামী গাড়ী থামিয়ে ২ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ২ টি জুস নেন। জুস খেয়ে গাড়ীতে উঠার পর সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে কোতোয়ালী থানার লালদিঘীর পাড় এলাকার সিদ্দীক হোটেলে নিয়ে যায়। ভিকটিম জুলেখা বেগম কে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে চিকিৎসার অজুহাত দেখিয়ে রুম ভাড়া নেন। সেখানে তাকে অজ্ঞান থাকা অবস্থায় জোর র্পূবক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। হোটেলে কিছুক্ষন অবস্থানের পর তার অবস্থা স্বাভাবিক হলে নিজেকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে কান্নায় জড়িয়ে পড়ে। তার কান্না দেখে আসামী তাকে কান্নাকাটি করতে বারণ করে। পরবর্তীতে আসামী তাকে ফেলে হোটেল থেকে পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিম হোটেল থেকে বের হয়ে কিছু দূর রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে আসার পথে তার অবস্থার অবনতি দেখে এক পথচারী তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরবর্তীতে ভিকটিম সুস্থ হয়ে কোতোয়ালী থানায় নিজে বাদী হয়ে ৩ জন কে সাক্ষী করে মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলা রহস্য জনক হওয়ায় একপর্যায়ে সাক্ষী হিসেবে এজাহারে নাম দেওয়া মমতাজ গ্রেফতার হয়। এ দিকে এই মামলায় আসামী মমতাজ আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রতিবেদনে দেয়,আসামী নজরুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা ২জনের সহয়তায় ভিকটিমকে প্রলোভন দেখিয়ে নেশা দ্রব্য সেবন করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় আসামী আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তার প্রকৃত ঘটনা রহস্য বেরিয়ে আসে। আসামী রুম ভাড়া নেওয়ার সময় মমতাজ উদ্দীন খোকন ও অপর সাক্ষী মোঃ সেলিম দুই জনই একে অপরের বন্ধু সেজে ভিকটিম জুলেখা বেগম কে নজরুল ইসলাম সেজে প্রকৃত নাম সেলিম স্ত্রী পরিচয় দেয় রুম ভাড়া নেন। সেখানে তারা ভিটটিম জুলেকা বেগম কে জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। জবানবন্দি প্রতিবেদনে বলা হয় এজাহারে নাম উল্লেখ করা ২ জন সাক্ষী সেলিম ও খোকন হোটেলে প্রবেশের সময় রেজিস্টার বইয়ে সেলিম লেখাপড়া না থাকার অজুহাত দেখিয়ে খোকন নিজ হাতে সেলিমের নাম টি গোপন করে তার স্থলে নজরুল ইসলাম পিতা বশির আহমদ লিখে দেন। গ্রেফতারকৃত আসামী খোকন ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে বলেন, মামলার এজহার নামীয় আসামী ঘটনাস্থলে ছিলেন না। এজাহার নামীয় আসামী নজরুল ইসলাম পটিয়া উপজেলার সোনালী ব্যাংক মৌলভী বাজার শাখার ব্যবস্থাপক। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য মমতাজ ও মোঃ সেলিম ভিকটিম জুলেকা বেগম কে হোটেল নিয়ে ধর্ষণ করে। গ্রেফতারকৃত মমতাজ ও সেলিম একটা সংঘবদ্ধ মিথ্যা মামলা দায়েরকারী চক্র। মূলত তারা টাকার বিনিময়ে নিরাপরাধ মানুষকে ফাঁসানোর জন্য পতিতাদের সাথে চুক্তি করে এসব অপরাধ সংগঠিত করে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। এদের কাজটায় এভাবে মানু্ষকে মিথ্যা মামলা জড়িয়ে অর্থ হাতিয়ে দেওয়া।

 

এ বিষয়ে মামলা দাখিলকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এস আই ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এই মামলায় প্রতারক চক্রের মূলহোতা সেলিম কে বাঁশখালীর পশ্চিম চেচুরিয়া ঘোনাপাড়া নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
তার বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানা সহ বেশ কয়েকটি থানায় অন্তত ১২-১৪ টি মত মামলা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.