সাতকানিয়া-প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাং লিডার সমাজপতিকেও ঢুকিয়ে দিল ছুরি

সাতকানিয়ার মাদার্শা চেয়ারম্যান ঘাটা-

সৈয়দ আককাস উদদীন 
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কিশোর গ্যাং লিডারের ছুরিকাঘাতে এক সমাজপতি গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
২রা জুলাই (মঙ্গলবার)  সকালে উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নে সরজমিনে গেলে স্থানীয়রা এই তথ্য জানান।
ছুরিকাঘাতে আহত যুবক উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের  চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে মো: আব্দুর রহিম,আব্দুর রহিম ওই এলাকার সমাজপতিও বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং একই এলাকার হলেও সে ৮নং ওয়ার্ডের মুদির দোকানি ইউসুপ সওদাগরের ছেলে মো: আবিদ(২০)।
এদিকে আহতের ভাই মহিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুদির সওদাগর ইউসুফের ছেলে মো:আবিদ এলাকায় বখাটে ও বেপরোয়া হিসেবে পরিচিত, সে একই এলাকার সফিনা নামে এক বয়স্ক মহিলাকে প্রায় সময় বিভিন্ন কথা বলে কটুক্তি করে আসছিল।
ওই কটুক্তির কথা সফিনা বেগম তার ছেলেকে বল্লে,তার ছেলে সমাজপতি রহিমকে বিচার দেয়,রহিম ছোট ছেলে হওয়ায় আবিদের বিষয়ে তার মা  ইউসুপ সওদাগরের বউকে বলতে গেলে রাগান্বিত হয়ে যায় ইউসুফ সওদাগরের ছেলে মো: আবিদ ও তার বউ।
পরে চেঁচামেচি করতে করতে সমাজপতি রহিমের বাড়িতে এসে আবিদ ও তার মা গালাগালি করতে থাকে, এক পর্যায় সবার সামনে  তার মাকে অস্ত্রটা আনতে বলে তার পকেট থেকে টিপ ছুরি বের করে বুকের উদ্দেশ্যে রহিমকে আঘাত করলে রহিমের বাম হাতে লেগে এক পাশ দিয়ে ঢুকে আরেক পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।
স্থানীয়রা আহত রহিমকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, রহিমের অবস্থা আশংকাজনক হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
আহতের রহিমের ছোট ভাই মহিন আরো বলেন, আমরা এই বিষয়ে ইউসুফ সওদাগরের ছেলে আবিদ ও তার বউয়ের বিরুদ্ধেসহ অপরাপর কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এসে সাতকানিয়া থানায় মামলা দায়ের করব।
অপরদিকে অভিযুক্ত মো: আবিদের পিতা মো: ইউসুফ বলেন,আমার ছেলেকে প্রথমে তারা ৪/৫জনে ধরে প্রকাশ্যে মেরেছে পরে আমার ছেলে ছুরিকাঘাত করছে সেটা সত্য, এটা আমরা স্থানীয় ভাবে বসে শেষ করব।
তিনি আরো বলেন, আমার বড় ছেলে ইতিমধ্যে আহত রহিমের চিকিৎসা কাজে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান করছে।
এদিকে স্থানীয় ইসহাক নামে এক ব্যক্তি বলেন,চেয়ারম্যান ঘাটা রাস্তায় কিছুদিক আগে একটি মেয়ে নিয়েও ৩/৪ঘন্টা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল,তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেনা।
আবিদের সাথে স্কুল পড়ুয়া এক কিশোর প্রতিবেদককে বলেন,আমার বন্ধু আবিদ একবার স্কুলেও ছুরি নিয়ে গেলে হেড স্যারের সাথেও ঝামেলা শুরু হয়েছিল।
তার পকেটে সবসময় ছুরি থাকে সেটা সত্য।
তবে একই ঘটনায় অভিযুক্ত আবিদও মাথায় আঘাত হওয়ার কিছু স্থিরচিত্র প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত আছে।
মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.