বাঁশখালী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ আহরণ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে বোট ফিশিং করায় বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে রবিবার ১৪ জুলাই দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে অবৈধ ভাবে ফিশিং করায় ৪টি বোট আটক করা হয়। আটককৃত বোটের মাছের পরিমান ৪৬০০ কেজি যা প্রকাশ্যে নিলাম ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি করা হয় এবং বোট ৪ টিকে মোট ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখে চিংড়ি পোনা ধরার জন্য অবৈধ ভাবে বসানো ৫ টি মশারী নেট জব্দ করে পোড়ানো হয় যার আনুমানিক দৈর্ঘ্য ৫০০০ মিটার।। এছাড়া আল্লাহ মালিক নামক একটি যান্ত্রিক মৎস্য নৌযানে অবৈধভাবে বসানো ট্রলিং সিস্টেম ও ট্রলডোর অপসারণ করা হয়। অবৈধভাবে এ পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য মালিককে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং একটি মুছলেকা নেয়া হয়। অভিযানকালে সর্বমোট ১০ লক্ষ ৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার এর নির্দেশনায় উপজেলা মৎস্য দপ্তর ও কোস্টগার্ড বাঁশখালী এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাঁশখালী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্স কমান্ডার মো. মিজানুর রহমান, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর চট্টগ্রামের পরিদর্শক মো. মনজুর আলম, আব্দুল কুদ্দুস, মেরিন অফিসার সাইফুল ইসলাম, ইনুমেটর মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অভিযানে অবৈধভাবে ফিশিং করায় ৪টি বোট আটক পূর্বক ৪৬০০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছ থেকে ৫শ কেজি মাছ স্থানীয় ২৫টি এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। একই সাথে শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখে চিংড়ি পোনা ধরার জন্য অবৈধভাবে বসানো ৫ হাজার মিটার দৈর্ঘ্যের ৫টি মশারী নেট জব্দ করে পোড়ানো হয়। এছাড়া আল্লাহ মালিক নামক একটি যান্ত্রিক মৎস্য নৌযানে অবৈধভাবে বসানো ট্রলিং সিস্টেম ও ট্রলডোর অপসারণ করা হয়। এসময় ওই বোট মালিককে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় পূর্বক মুছলেকা নেয়া হয়।