সাতকানিয়া প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক এমপি প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন হিরু ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিদওয়ানুল হক সুজনকে। মোট ৬১ আসামির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০-২০০ জনের নামে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) মামলাটি দায়ের করেন লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের পুরাতন থানা গেইট এলাকার মফিজুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ মোমেন হোসেন জয়। লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৩ আগস্ট উপজেলার পদুয়া সেভেন স্টার শপিং কমপ্লেক্সের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আসামীরা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক ও বিদেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
আসামীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর রাম দা, হকিষ্টিক ও লাঠিসোটা নে আক্রমণ করে। এসময় বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, দোকানপাট ভাংচুর, ককটেল ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমতে আতংক সৃষ্টি করে। আসামীরা স্বৈরশাসকের দোসর ও অবৈধ ক্ষমতা দখলদারী, নিরীহ মানুষ নির্যাতনকারী, ভূমিদস্যু, অবৈধ বালু ব্যবসায়ী, অবৈধ বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মারাত্মক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক হয়। তাদের প্রত্যেকের হেফাজতে অবৈধ লাইসেন্স বিহীন বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। আসামীরা অস্ত্র হাতে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় মহড়া দিয়ে জনমতে আতংক সৃষ্টি করেছেন।
আরো বলা হয়, আসামীরা দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় পাহাড় দখল, খাল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসাসহ প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছিলেন। এছাড়া আসামিরা স্থানীয় থানাকে প্রভাবিত করে প্রতিবাদকারী সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও বাড়িতে গিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন।