নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
ইয়াছমিন আক্তার (৪০) নামের এক গৃহবধূকে মারধরের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগির স্বামী ফরিদুল আলম।
সোমবার(৩রা ফেব্রুয়ারি)সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে গেলে ভুক্তভোগীরা এই তথ্য জানান।
জানা যায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সদরের করইয়া নগর খন্দকার পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, মোঃ সাকিব (২৫), আক্তার কামাল (৫৮), মোঃ জামাল (৪৭) ও অজ্ঞাত ১০-১২জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জেরে গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আক্তার কামালের নেতৃত্বে সাকিব, জামাল ও অন্যান্য সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা নিয়ে ফরিদুল আলমের বসতঘরে এসে দরজা খুলতে বলে। ফরিদেরর স্ত্রী ইয়াছমিন দরজা খোলার সাথেসাথে সন্ত্রাসীরা বসতঘরে ঢুকে ফরিদকে খোঁজাখুঁজি করে। এসময় ইয়াছমিন প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা ইয়াছমিনকে মারধর করে মারাত্বক জখম করে এবং তার পরনের কাপড় ছিড়ে ফেলে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা বসতঘরে ভাংচুর ও লুটপাট করে ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে।
পরে ইয়াছমিনের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিরা ইয়াছমিনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবণতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার ইয়াছমিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে ইয়াছমিন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে অভিযুক্ত সাকিব ও আক্তার কামাল ঘটনার সাথে জড়িত নয় দাবি করে বলেন, তারা নিজেরা ঘটনা করে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
এদিকে আক্তার কামাল আরো অভিযোগ করেন আমি ৩৫বছর ধরে কক্সবাজারে থাকি,আমি তার ভাই থেকে জায়গা ক্রয় করেছি ওই জায়গা আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেনা,এবং কোন জায়গায় সে বৈঠক ও বসেনা।
সাতকানিয়া থানার এএসআই মোস্তাক বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্থানীয় লোক বলেন,মূলত ফরিদ আর ফরিদের ছেলে না থাকার সুযোগে সাকিব দলবল নিয়ে এই হামলা আর লুটপাট চালান সেটা সত্য।