পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় দেশের ভেতরে ও বাইরে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ব্যাপক ষড়যন্ত্র চলছে। পতিত সরকারের দোসররা নানামুখী উস্কানি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি সহ নানান কারনে দেশের মানুষ অস্বস্তিতে আছে। এই অবস্থায় অতি দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচন দরকার যা এখন বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি। কোন ধরনে টালবাহানা করে নির্বাচন পিছানোর অজুহাত এইদেশের মানুষ মেনে নিবে না উল্লেখ করে ব্যারিস্টার হেলাল বলেন, গণতান্ত্রিক সরকারই পরবর্তী সংস্কার সম্পাদন করবে। না করলে জনগণ বিচার করবে। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক সরকারের উপরই আস্থা রাখতে চায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার কর্ণফুলী ক্রসিং চত্বরে নবঘোষিত দক্ষিণ জেলা বিএনপির কৃতজ্ঞতা ও স্বাগত মিছিল পূর্ব বিশাল সমাবেশে ব্যারিস্টার মীর হেলান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে ব্যারিস্টার হেলাল আরও বলেন, অতি দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র যুবক, কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষ একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ ১৬ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছে। হামলা-মামলা, ঘুম-খুন, নির্যাতন-নিপীড়ন, জেল-জুলুম সহ অত্যাচার -অনাচার মোকাবেলা করেছে। অকাতরে জীবন দিয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিপরীতে অবস্থান নিলে বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না উল্লেখ করে মীর হেলাল বলেন, প্রয়োজনে আবারো আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বিএনপিকে মাটি ও মানুষের সংগঠন বলে উল্লেখ করে মীর হেলাল বলেন অতীতে বিএনপি অনেক পরীক্ষা দিয়েছে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্টায় বিএনপি’র ত্যাগী নাতাকর্মীরা পিছপা হবে না। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্যে করে বলেন জনগণের মনের ভাব বোঝার চেষ্টা করেন। দেশের সাধারণ জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। ব্যারিস্টার মীর হেলাল দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতির প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি জেলা উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি সাধারণ মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য থেকে দল গঠন করতে হবে। ব্যারিস্টার মীর হেলাল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণ ফিরে আনার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল বলেন, বিএনপির বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে। অতীতে বিএনপি ও শহীদ জিয়ার নাম নিশানা মুছে ফেলার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকার অনেক অপচেষ্টা চালিয়েছিল। অথচ আজ বাংলাদেশের মানুষ তার পিতা ও তার দল আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছে ফেলেছে। বিএনপির স্থান জনগণের অন্তরে। তাই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিছিন্ন করা যাবে না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ রাজনৈতিক সরকার ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করা যাবে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানুষের জান মাল রক্ষা টেকসই উন্নয়ন এমনকি স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাও কঠিন। তিনি অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন ঘোষণার দাবী জানান। মিছিলটি কর্ণফুলী থানাধীন ক্রসিং মোড় চত্বর থেকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে মইজ্জারটেক গিয়ে শেষ হয়। বক্তব্য রাখেনচট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, মাহবুব রানা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এহসান এ খান, অ্যাড. এস এম ফোরকান, বদরুল খায়ের চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জামাল হোসেন, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এস এম মামুন মিয়া, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ইসহাক চৌধুরী, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মাস্টার লোকমান, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আজিজুল হক চেয়ারম্যান, রেজাউল করিম নেছার চেয়ারম্যান, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, আবদুল গাফফার চৌধুরী, আমিনুর রহমান চৌধুরী, হাজী আবুল কালাম আবু, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু, এস এম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, কামরুল ইসলাম হোসাইনী,সিরাজুল ইসলাম সওদাগর,জসিম উদ্দিন,হাজী রফিকুল আলম, নওয়াব মিয়া,ইব্রাহীম খলিল চেয়ারম্যান,আবদুল জলিল, আবদুল মোনাফ, জসিম মাস্টার, শওকত আলম, বিএনপি’র পৌরসভার আহ্বায়কবৃন্দ রাসেল ইকবাল মিয়া, শহীদুল্লাহ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মাদু,বাবু খান, সরওয়ার হোসেন মাসুদ,বিভিন্ন উপজেলার সদস্য সচিববৃন্দ হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, সাজ্জাদুর রহমান, রেজাউল করিম চৌধুরী রেজা, হাজী ওসমান, গোলাম রসুল মোস্তাক, মোজাম্মেল হক, কামাল উদ্দিন, খোরশেদ আলম আইয়ুব, মো. ইউসুফ, আবদুর রহিম, অ্যাডভোকেট শওকত ওসমান,লায়ন নাছির উদ্দিন,হাজী আবদুর রাজ্জাক, ইন্জিনিয়ার হারুন উর রশিদ,মো:আলী মুন্সি,মো:ইসমাইল,নুরুল আবছার,জিএম জসিম উদ্দিন,মো:সোলাইমান,শাহাদাত হোসেন,এম মাঈনুদ্দীন চেয়ারম্যান,মেহেদী হাসান সুজন,ফজলুল কাদের,জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-