সাতকানিয়া: ১১টি মামলা কাঁধে নিয়েও অবিচল বিএনপির রাজনীতিতে হাজি রফিকুল আলম
হত্যা করা হয়েছিল তার কর্মীকেও
সৈয়দ আককাস উদদীন
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় বিগত ১৭বছর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র রাজনীতি করে টিকে থাকা এতটা সহজ ছিলোনা।
মাসের পর মাস বছরের পর বছর স্বৈরাচার আমলের হামলা মামলা সহ্য করে হাতেগোনা গুটি কয়েকজন টিকে আছেন এমন ব্যক্তিদ্বয়ের মাঝে একটি নাম চট্টগ্রাম দক্ষিণের আওতাধীন সাতকানিয়ার আকাশে বাতাসে ধানের শীষের হাওয়ায় উচ্চারিত হয় যার নাম তিনি হচ্ছেন সাতকানিয়া পৌর বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির বর্তমান প্রভাবশালী সদস্য ও বিশিষ্ট শিল্পপতি হাজী রফিকুল আলম।
বিএনপির রাজনীতিতে এমন পোঁড়খাওয়া রাজনীতিবীদের কথা বলতে হলে নি:স্বন্দেহে একটু ভয়াবহ অতীতের দিকে ফিরে যেতে হয়,বলছিলাম ২০১৫সালে সাতকানিয়া পৌরসভার নির্বাচনে প্রথম দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে লড়ে যাওয়া বিস্ময়কর কাহিনীগুলো।
প্রচন্ড গরমে পৌরসভা- বাসী ব্যালটে নিজের প্রার্থীকে ম্যান্ডেট দিয়ে পৌরপিতা নির্ধারণ করার জন্য যখন একটি রব ওঠেছিলো পুরো পৌরসভার আকাশে, পাখির কলকাকলী থেকে শুরু করে পৌরসভার বুকচিরে পথচলা ডলু নদীর পানিও যখন হাজি রফিকুল আলমের নামে একাট্টা তখনি বাঁধ সাধে স্বৈরাচারের লালিত একটি কুচক্রী মহল।
সর্বশেষ নির্বাচনী বিধিমতো প্রচারণা বন্ধ হওয়ার আগে,যখন হাজি রফিকুল আলমসহ গণসংযোগ মিছিলটি ২০১৫সালে ২৮শে ডিসেম্বর উপজেলা চত্বর থেকে সাতকানিয়া কানুপুকুর পাড় পর্যন্ত আসে তখনি সাতকানিয়া থানা পুলিশের সামনেই যুবলীগ, ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অতর্কিত গণসংযোগ মিছিলে হামলা করে নির্বাচনী গাড়ী থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধ বণিতা সকলের উপর নির্লজ্জ ভাবে হামলে পড়ে। ঘটনায় আহত হন চট্টগ্রামের মহিলা দলের নেত্রী জান্নাতুন নাইম রিকুসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
এদিকে আহত জান্নাতুন নাঈম রিকুর আঘাত এতবেশী মারাত্বক ছিলো যে তিনি দেশের গন্ডি পেরিয়ে ভারতেও চিকিৎসা নেন।
ওদিন- হাজি রফিকুল আলমের সাথে গণসংযোগে ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক
আসলাম চৌধুরী,সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম
এনামুল হক এনামসহ কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতাধীন বিএনপির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
শুধু তাই নয়, হাজি রফিকুল আলমের সমর্থকদের বিভিন্ন হুমকি ধামকির মাধ্যমে বিভিন্ন হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে তৎকালীন স্বৈরাচার সরকার।
এবং এত কিছুর পরেও নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার দায়ে নির্বাচনের আগে পরে মোট ১১টি মামলা দিয়ে জর্জরিত করেন তৎকালীন বিএনপির মেয়র প্রার্থী এই হাজি রফিকুল আলমকে।
৩০শে ডিসেম্বর সকালে সাতকানিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে হাজি রফিকুল আলমের একজন এজেন্ট প্রবেশ করার সময় পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের গোয়াজর পাড়ার এক বাসিন্দাকে গুলি করে নির্মম ভাবে হত্যা করেন।
এবং তারা বুঝতে পেরেছেন হাজি রফিকুল আলমের জয়জয়কার তাই এই হত্যার মধ্য দিয়ে অস্থিরতা বিরাজ করে হাজি রফিকুল আলমকে দেয়া জনগণের ম্যান্ডেট ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে।
হাজি রফিকুল আলমের এজেন্টকে হত্যার আগে ধানের শীষের প্রতীকে ৩হাজারের মত ভোট পেয়েছিলো মাত্র ৩০মিনিটের ব্যবধানে।
শুধু তাই নয়,নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে দেয়ার জন্য হাজি রফিকুল আলমের ছেলেকেও অপহরণ করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগের দোসররা,অপহৃত ছেলেকে সুকৌশলে ছাড়িয়ে আনার জন্য- প্রায় ৩ঘন্টার মত নির্বাচনী কার্যক্রমও বন্ধ রাখতে হয়েছিলো।
পরে ঠিকই নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন বিএনপির ত্যাগী এই নেতা।