হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া নুরুল কবির বাঁচার জন্য আশংকা প্রকাশ করে থানায় অভিযোগও করেছিল

কবিরকে কবরে শুয়ে দেয়ার পর দুই গন্ডা জমির লোভ দেখাচ্ছে আমাদের:নিহতের ভাই হারুন

সৈয়দ আককাস উদদীন, সাতকানিয়া থেকে
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়ায় আলোচিত  হত্যাকান্ডের শিকার নিহত দিনমজুর নুরুল কবির  মৃত্যুর আগেই আঁচ করতে পেরেছিল তাকে হত্যা করা হবে যে কোন সময়।
আজ ১২ই আগস্ট শুক্রবার সকালের সময়ের হাতে আসে নুরুল কবিরের মৃত্যুর আগে  সাতকানিয়া থানায় দায়ের করা  অভিযোগের ২টি কপি।
অভিযোগের কপিমতে দেখা যায়, গত ১৭ই আগস্ট সকাল ১১টার সময় মৃত কালা মিয়ার পুত্র আব্দুস ছোবান তার জেঠাতো ভাই আব্দুল মজিদের বিরোধীয় জায়গার  পক্ষে নিয়ে নিহত রিক্সা চালক  নুরুল কবিরকে কিরিচ দিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করার কথা উল্লেখ করা হয় মৃত্যুর আগে সাতকানিয়া থানায় দায়ের করা ওই অভিযোগপত্রে।
এবং হত্যা করার কথা প্রকাশ করিলে পরিবারের অপরাপর সদস্যদেরকেও হত্যা করবে বলেও বলা হয় ওই অভিযোগপত্রে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে নিহত নুরুল কবির শুধু মাত্র আব্দুস ছোবানকেই আসামি করেই হত্যার আশংকা প্রকাশ করেন।
অপরদিকে পুনরায় আবারো হত্যার আশংকা প্রকাশ করে নিহত নুরুল কবিরের পরিবার হত্যাকান্ডের ১সপ্তাহ আগেও আব্দুল মজিদ, শহিদুল ইসলাম, নজির আহমদ, নেয়াজুর রহমান, এবং ছোবানকে বিবাদী করে আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
পরিবারসূত্রে জানা যায়, সাতকানিয়া থানায় দায়ের করা দুনোটার অভিযোগের একটাও লিখিত কোন সমাধান হয়নি এখনও তবে তার ভেতর অভিযোগে প্রকাশ করা আশংকা সত্যি হয়ে গেল অভিযুক্তদের কিরিচের কোপে প্রাণ গেল অভিযোগের বাদী নুরুল কবিরের।
নিহত নুরুল কবিরের জেঠাতো ভাই মো হারুন বলেন,আমার ভাই নিহত হওয়ার আগে জোরপূর্বক বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের কথা ও  বার বার হত্যার কথা বলে অভিযোগ দিলে পুলিশ এলাকায় আসেন তবে শেষ পর্যন্ত সমাধান করা হয়নি।
অথচ আমরা থানায়ও গেছিলাম তখন, কিন্তু ছোবান মুন্সীকে আমার ভাই নিহত নুরুল কবির থানার অভিযোগে একক বিবাদী করা হলেও তার (ছোবান)  সাথে হত্যা মামলার ১নং আসামি শহিদুল ইসলাম থানায় গিয়ে পুলিশের এসআইকে চাপ প্রয়োগ করেন, ফলে আর বৈঠক হয়নি।
পরে নুরুল কবিরের হত্যাকান্ডের মাত্র ১সপ্তাহ আগে  আবার আমি নিজে বাদী হয়ে একই বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের কথা উল্লেখপূর্বক  আশংকা প্রকাশ করে  আব্দুল মজিদও ছেলেসহ  সবার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলাম তবুও ভাইকে বাঁচাতে পারিনি।আসলে রিক্সাওয়ালা, দিনমজুর গরীব লোকের এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই!ক্ষমতাশালী প্রতাপশালীরা আমাদেরকে টোকাই হিসেব করে দিনের আলোতে  প্রকাশ্যে হত্যা করে ফেলে দেয়।
অপরদিকে ক্ষমতাশালীদের পক্ষে নিয়ে এলাকার অনেক দালাল আমার ভাইকে কবরে শুয়ে দেয়ার ১ঘন্টা পর ২গন্ডা জমি দিয়ে হত্যা মামলা আপোষের প্রস্তাবও দিচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে তারা জানে আমাদের মতো পরিবারের লোকদের হত্যার পরও কিছু নগদ টাকা আর কিছু জমির লোভ দেখালেই হবে!যেহেতু আমরা জন্মগত গরীব ও অসহায়, আমাদের জীবনের মূল্যের কি আসে আর যায়।
মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.