স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রাম মীরসরাই উপজেলার আবু নগর কমিউনিটি ক্লিনিক, মধ্য তালবাড়িয়াতে খান ফাউন্ডেশন ‘ভয়েসেস ফর চেঞ্জ’ প্রকল্পের বাস্তবায়নে ও এম টি বিনক্লাবের সহযোগিতায় স্থানীয় সেবা খাতে নাগরিক পরিবীক্ষণ সেবা খাতের প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় অংশগ্রহণকারীরা স্থানীয় সরকার ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে জনগণের দারপ্রান্তে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে এবং নাগরিক সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সোমবার ( ২০ অক্টোবর) বিকেলে আবু নগর কমিউনিটি ক্লিনিক, মধ্য তালবাড়িয়াতে সুইজ এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি) এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা’র আর্থিক সহযোগীতায় নাগরিক ফোরাম এর আয়োজনে মতবিনিময় সভায় আয়োজন করা হয়। নাগরিক ফোরাম কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ সামছুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল ফায়সালের উপস্থাপনায় কার্যক্রম ধারাবাহিক ভাবে মত বিনিময় সভা চলমান থাকে। নাগরিক ফোরাম মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আবু নগর কমিউনিটি ক্লিনিক এর সি এইচ সি পি সুবর্ণা রানী নাথ, জনকল্যান সংস্থার সভাপতি মোছাঃ আসমা নুরী, এন এস এস এর পরিচালক মোঃ ইমাম হোসেন স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ারুল নিজামী, প্রেস ক্লাব, মীরসরাই, কমল পাটোয়ারী, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কর্মী পান্না বড়ুয়া, নাগরিক ফোরাম’র উপদেষ্টা আহ্বায়ক পাখি রানী ভৌমিক।
নাগরিক ফোরাম কতৃর্ত মত বিনিময় সভায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন খান ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম
জেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ মজিবুর রহমান খান ফাউন্ডেশন প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা ও মোসাঃ বিলকিস সুলতানা। নাগরিক ফোরামের প্রতিনিধিবৃন্দ, স্থানীয় কমিউনিটির জনগণ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
জনকল্যান মহিলা উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আসমা নুরী বলেন, ‘সরকারী সেবা সুযোগ নয় নাগরিক অধিকার। জনগণের দারপ্রান্তে চিকিৎসা সেবা পোঁছে দেওয়া প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। কমিউনিটির সহযোগিতা ও সরকার মিলেই পরিচালিত হয় কমিউনিটি ক্লিনিক, কাজেই উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হবে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা।’
সি এইচ সি পি সুবর্ণা নদী রানী নাথ বলেস ‘কমিউনিটি ক্লিনিক গ্রামীন পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। স্বাস্থ্য সহকারীরা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সাথে তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন। গ্রামে অনেক দরিদ্র মানুষ রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক এসব মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাপক সহযোগিতা করছে। এই প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যকর রাখতে পারলে কমিউনিটির মানুষ ব্যাপক সেবা পাবে। কমিউনিটি ক্লিনিক টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আমার, আপনার, সকলের। নাগরিকদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকারি সেবার মান ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি হয়। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে সব ধরনের সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।’
উল্লেখ্য কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও সামগ্রী সরবরাহ, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শ প্রদানসহ রক্তচাপ, রক্তের সুগার ও হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করা হয়।