বাচ্ছু পাটোয়ারী, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রতারণার মাধ্যমে একাধিক বিয়ে ও স্ত্রী সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রথম স্ত্রী। আদালতে মামলা করেও পুলিশ আসামী গ্রেফতার না করায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শনিবার সকালে মিরসরাই উপজেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ৫ মাসের গর্ভবতী নারী ঝুমুর বেগম।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌরসভাধীন মেহেদীনগর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে জাহেদ হাসান জয়ের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ বছর পর সে সৌদি আরব চলে যায়। এ সময় আমার পরিবার জমি বিক্রি করে তাকে ৫ লাখ টাকা দেয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় আমি তাকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিয়েছি। কিন্তু সে সৌদি আরবে নারী কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়লে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। দেশে এসে আমার গত ১০ জুলাই আমার বাসায় উঠে। ১৭ জুলাই আমাকে ওদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ওদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে শ্বাশুড়ি ও ননদরা আমাকে মানসিক ও শারীকি নির্যাতন করে। আমার স্বামী জমি কেনার জন্য ৫ লাখ টাকা দিতে বলে। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দে। এখন সে আমাকে ও সন্তানদেও অস্বীকার করছে। আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। এখন আমি জানকে পেরেছি সে দেশে ফিরে বাঁশখালীর এক মেয়েকে পুনরায় বিয়ে করে। আমি ৫ মাসের গর্ভবতী। আমি উপায়ন্ত না দেখে গত ১৫ সেপ্টেম্বর আমার স্বামী জাহেদ হাসান জয়, শ্বাশুড়ি আনোয়ারা বেগম ও ননদের জামাই মোঃ ফারুককে বিবাদী করে ভোলা আদালতে একটি যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেছি। আমার ও সন্তানের অধিকার ফিরে পাবার দাবি করছি। আমি
এবিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ জাহেদ হাসান জয়ের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলে বিয়ের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। আমি কখনো ঝুমুর বেগম থেকে কোন টাকা পয়সা নেইনি।
গংবাদ সম্মেলনে ঝুমুর বেগমের বড় ভাই মাসুদ ও মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আব্দুল হালিম বলেন,ওসি বলেন, ওয়ারেন্ট পাইনি, যদি পাই সাথে সাথে আসামীকে গ্রেফতার করবো। পারিবারিক বিষয়ে পারিবারিক আদালতে বাদীকে যেতে হবে।