আবদুল জলিল, খাগড়াছড়ি।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মধ্য বোয়ালখালী পশ্চিম পাড়া (অনাথ আশ্রম) গ্রামে একই পরিবারে মা ও ছেলে দু’জনেই প্রতিবন্ধী।
পরিবারের প্রধান জরিনা বেগম (৫০) গত ৮ বছর যাবৎ অসুস্থ হয়ে সুচিকিৎসার অভাবে বর্তমানে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। পাশাপাশি তাঁর একমাত্র ছেলে মোঃ তাইজ উদ্দিন (৩২) জন্ম থেকেই একজন মানসিক প্রতিবন্ধী।
পরিবার প্রধান জরিনা বেগম’র স্বামী মোঃ জালাল উদ্দীন প্রায় একযুগ পূর্বে উপারে জমিয়েছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই পরিবারে অভাব অনটন লেগেই আছে। অবশ্য একটি মেয়ে ছিলো। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়েকে একজন দিনমজুরের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সে তার সংসার নিয়ে ব্যস্ত।
২৩ জানুয়ারি (শনিবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবন্ধী মা ও ছেলের দূর্বিষহ জীবনযাপন। একটি পুরোনো জরাজীর্ণ বাড়িতে বসবাস করছে তারা। নেই কোন আয়ের উৎস। প্রতিবেশী ও মেয়ে কিছু দিলে খেতে পারে। নয়তো অনেক সময় না খেয়েই দিন-রাত্রি যাপন করছেন মা ও ছেলে।
জরিনা বেগম বলেন, পাইলে খাই না পাইলে ঘুমাই। প্রতিবেশীদের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ। তাদের মাধ্যমেই আল্লাহ তায়ালা আমাকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন।
জরিনা বেগমের মেয়ে রহিমা বেগম বলেন, আমার মা ও ভাই দু’জনই প্রতিবন্ধী। জরাজীর্ণ বাড়িতে থাকাটা শীতে ও গ্রীষ্মে খুবই কষ্ট হয়। এদের দেখার কেউ নাই। আমার স্বামীও একজন দিনমজুর। তাই ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় সহযোগিতা করতে পারিনা। শুনেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের ঘর ও নানা সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন। তাই আমার মায়ের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।
প্রতিবেশীরা বলেন, এ পাড়ার সবচেয়ে অস্বচ্ছল ও দুস্থ এ পরিবারটিকে আমরাই সবসময় সাহায্য সহযোগিতা করে চালিয়ে নিচ্ছি। এদের কোন আয়ের উৎস নেই।
১ নং মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ ২ নং ওয়ার্ড সদস্য ঘনশ্যাম ত্রিপুরা মানিক বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। জরিনা বেগম’র ছেলে মোঃ তাজুল ইসলামকে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জরিনা বেগম’র বিষয়টিও আমি দেখবো।