ইয়াস : উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণে নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জরুরি উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী তিন স্তরের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দ্রুত উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা দিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধজাহাজ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে।

আজ বুধবার আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এ পরিকল্পনা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নদীপথ, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র এলাকার চট্টগ্রাম, মোংলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কাজের জন্য নৌবাহিনীর ১৮টি জাহাজ প্রস্তুত রয়েছে। বানৌজা সমুদ্র অভিযান, সমুদ্রজয়, সাগর, স্বাধীনতা, প্রত্যয়, নির্মূল, শাপলা, নির্ভয়, অপরাজেয়, অদম্য, গোমতী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, শাহ পরান, শাহ মকদুম, এলসিটি-১০৫, এলসিভিপি-০১১ ও এলসিভিপি-০১৩ জাহাজের পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এবং হেলিকপ্টার সমুদ্র এলাকায় উদ্ধার অভিযান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

দেশের উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মোতায়ন করা সব কন্টিনজেন্ট জনস্বার্থে বিভিন্ন সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা পরিচালনা করছে। তা ছাড়া বিপদসংকুল এলাকাগুলো থেকে স্থানীয় জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা দিচ্ছে।

নৌবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত ত্রাণ প্রস্তুত রাখাসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ত্রাণ সংকুলানের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হয়েছে। জরুরি চিকিৎসা সহায়তা দিতে নৌবাহিনীর মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। পাশাপাশি ভাসানচরে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ভাসানচরেই পূর্ব নির্ধারিত ঘূর্ণিঝড় নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং ভাসানচরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী, লাইফ জ্যাকেট ও এক মাসের শুকনা খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদর দফতর ও সব আঞ্চলিক কমান্ড কর্তৃক ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি সার্বক্ষণিক নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.