হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আহমদ শফীকে হত্যার প্ররোচনা মামলায় সংগঠনটির আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে শুনানি হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আহমেদ শফিকে হত্যার প্ররোচনা মামলায় প্রতিবেদনের ওপর আদালতে শুনানি হয়েছে। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে শুনানি শেষে আগামী ১৫ জুলাই পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
গত ১২ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলা। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৪৩ আসামির মধ্যে এজাহারভুক্ত ৩১ জন, মামলার তদন্তে নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরও ১২ জন। তবে ৪৩ আসামির মধ্যে নাম নেই রিসোর্ট কাণ্ডে আলোচিত মামুনুল হকের।
তদন্তে নতুন করে যুক্ত হওয়া ১২ জন হলেন, জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা শফিউল আলম, শিব্বির আহমেদ, আবু সাঈদ, হোসাইন আহমদ, তাওহীদ, এরফান, মামুন, আমিনুল, মাসুদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ও নুর মোহাম্মদ। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শিপলু কুমার দের আদালতে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর শ্যালক মো. মইন উদ্দিন ৩৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মাওলানা মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ আজাদী, আহসান উল্লাহ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ, মো. রিজুয়ান আরমান, হাসানুজ্জামান, মো. এনামুল হাসান ফারুকী, মীর সাজেদ, জাফর আহমদ, মীর জিয়াউদ্দিন, মাওলানা আহম্মদ, মাওলানা মাহমুদ, আসাদুল্লাহ, জুবাইর মাহমুদ, হাফেজ জুনায়েদ আহমেদ, আনোয়ার শাহ, ছাদেক জামিল কামাল, কামরুল ইসলাম কাসেমি, মো. হাসান, ওবায়েদুল্লা ওবায়েদ, জুবাইর, মাওলানা মোহাম্মদ, আমিনুল হক, সোহেল চৌধুরী, মবিনুল হক, নাইমুল ইসলাম খান ও হাফেজ সায়েম উল্লাহ।