শেষ মুহুর্তে আনোয়ারায় কুরবানির হাট মাতাচ্ছে কালা মিয়া,লাল মিয়া

আনোয়ারা প্রতিনিধি 

কুরবানি উপলক্ষ্যে আদর করে লালন পালন করা বিশালাকার দুটি ষাঁড়ের নাম কালা মিয়া,লাল মিয়া। নাম শুনলে মনে হয় আপন মায়ের যেন ২ভাই। কিন্তু না,তারা একই মায়ের দুই ভাই কিংবা একই পরিবারের না হলেও চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা হাট বাজার তাদের দখলে। ওজন, আকৃতি ও সৌন্দর্যে তারা নজর কাড়ে সকলের। কেনার সমর্থ থাকুক বা না থাকুক একবার তাদের দেখতে হলেও যেতে হবে সকল ক্রেতার। উপজেলার চাতুরী চৌমুহনী বাজারে তাদের তুলা হলেও করোনাকালে ন্যায্য মূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ষাঁড় দুটির মালিক আবদুল আলিম ও হুসাইন।

৭ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতায় ৫বছর বয়সী কালা মিয়া। ধারণা করা হচ্ছে ১৬ থেকে ১৭ মণ হবে তার ওজন। তার মালিক উপজেলা ১নং বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক গ্রামের আবদুল আলীম কালামিয়ার দাম হাঁকিয়েছে ৫লক্ষ টাকা। এবং সাড়ে ৬ফুট লম্বা ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতায় ৫বছর বয়সী লাল মিয়ার ওজন হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ মণ। তার ঠিকানা উপজেলার ৪নং বটতলী ইউনিয়নের আইরমঙ্গল গ্রামে। লালমিয়ার দাম দাম ঠিক করা হয়েছে ৪লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।

কালামিয়ার মালিক আব্দুল আলিম বলেন,গরুটি আমি ৩ বছর আগে ১ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এই ৩বছর নিজের ছেলের মতো যত্ন করে বড় করে তুলেছি। একে চাল, ভুসি, ছোলা, ফেসাড়ি এ ধরনের সাধারণ খাবার খাইয়েছি। আজ প্রথম হাটে তুলেছি। দেখা যাক কি হয়।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে উপজেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১৪হাজারের মত। তবে পশুর চাহিদা ১৪ হাজার থাকলেও এবারে কোরবানি উপলক্ষে আনোয়ারা উপজেলায় ১৫ হাজার ৮৭৬ টি পশু পস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে ষাড় হচ্ছে ৬ হাজার ১৮২টি, বলদ ৭০৭টি,গাভী ১০৯৮টি,মহিষ ৪ হাজার ৪২১টি, ছাগল হচ্ছে ২ হাজার ৫৪৯টি এবং ভেড়া ১০৯টি।
এই সমস্ত পশুর খামারীরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সঙ্গে প্রতিনিয়ত নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গরু মোটাতাজা করণ করেছে।

এই বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক যে তিনটি হাটকে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত দিয়েছে । ওই হাট গুলোতে প্রাণিসম্পদ দপ্তর টিম ভাগ করে বুথ বসানো হবে । এছাড়াও সারা উপজেলায় ভেটেরিনারি চিকিৎসকের ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট চালু থাকবে ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমেদ বলেন, উপজেলায় তিনটি অনুমোদিত পশুর হাট রয়েছে। সেগুলো সপ্তাহে দুইদিন বসবে। এছাড়াও বিধিনিষেধ মেনে অল্প অল্প করে পশু বেচাকেনা হলে কোন বাধা দেওয়া হবে না।

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.