চট্টগ্রাম সংবাদ ডেস্ক
ওরা তিনজন- সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে। গন্তব্যে পৌঁছে বা তার আগেই চালককে নাশতা খেতে অনুরোধ করে। যদি চালক রাজী হয়ে যায় তবেই ‘কেল্লাফতে’। সেখান থেকে কৌশলে গাড়ি নিয়ে পালায় তারা। এরপর চালকের ফোনে কল আসে, টাকা দিলেই ফেরত পাওয়া যাবে অটোরিকশাটি। এমনই একটি চুরির ঘটনা তদন্তে নেমে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চান্দগাঁও থানা পুলিশের সদস্যরা চোর চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি উদ্ধার করেছে একটি চোরাই সিএনজি অটোরিকশা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আব্দুল মান্নান (৩১), মো. ইব্রাহিম (৩১) ও ওসমান গণি (২৮)।
পুলিশ জানায়, মো. শরীফুল ইসলাম চৌধুরী (৩০) নামের এক ব্যক্তি গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে এগারোটার দিকে চান্দগাঁও থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, যমুনা স্কয়ার ক্লাবের সামনে থেকে তার সিএনজি অটোরিকশাটি চুরি করে নিয়ে গেছে প্রতারক চক্র।
এ ঘটনায় তিনি থানায় এসে মামলা দায়ের করেন ১২ ফেব্রুয়ারি। ঘটনার পরদিন থেকেই চোর চক্রের সদস্যরা সিএনজি অটোরিকশার মালিককে কল করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করে।
এরপর ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আকবরশাহ, ডবলমুরিং ও বাকলিয়া থানায এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে আসামিদের তথ্য অনুযায়ী বাকলিয়া থানাধীন মাহমুদুল হক সওদাগরের বাড়ি থেকে সেই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল মান্নান তাদের চুরির কৌশল সম্পর্কে আমাদের কাছে তথ্য দিয়েছে। তারা সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে গিয়ে চালককে নাশতা বা খাবারের জন্য অনুরোধ করে। চালক খাবারের জন্য গেলে চক্রের অন্য সদস্যরা কৌশলে অটোরিকশাটি চুরি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে চোরাই সিএনজি অটোরিকশাটি অজ্ঞাত স্থানে রেখে অটোরিকশার মালিকের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে।
সম্পাদনা: আই এইচ