ঈদগাঁওতে বাউকুল চাষাবাদে কৃষকের ভাগ্য বদল

ঈদগাঁও প্রতিনিধি: কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে বাউকুল চাষাবাদে ভাগ্য বদল চাষীদের।বাগানে উৎসবের আমেজ চলছে। অনুকুল আবহাওয়ায় কুলের আকার আকৃতি ও স্বাদ বেড়েছে। ঈদগাঁওর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বাউকুল জাতের কুলের চাষ হয়েছে। চাষীদের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। এমনকি বিভিন্ন স্থানেই বাউকুল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে চাষীরা। এই বাউকুল ঈদগাঁও বাজারসহ যত্রতত্রে স্থানজুড়ে বিকিকিনি হচ্ছে। পাহাড়ী ইউনিয়ন ঈদগড়ের পাশাপাশি কুলের আবাদের জন্য খ্যাতির স্থান দখল করতে যাচ্ছে ঈদগাঁও। দেখা গেছে, গাছে গাছে থোকায় থোকায় কুল ঝুলে রয়েছে। কৃষক বাগান থেকে কুল সংগ্রহ করছেন। বাগান জুড়ে উৎসবের আমেজ যেন চাষীদের মাঝে। এক বাউকুল বিক্রেতা জানান, বিগত বছরের চেয়ে এবছর অনুকুল আবহাওয়ার কারণে কুলের আকার-আকৃতি বেড়ে কুলের ওজন বৃদ্ধি হয়েছে। ঈদগাঁওর কালিরছড়ায় ৪/৫টি বাগান থেকে পাইকারী কুল কিনে ঈদগাঁও বাজারসহ পাড়া মহল্লায় বিক্রি করছি। তবে ৮০ থেকে ১শত টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন তিনি। এক সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর কুলের আবাদে লাভ হয়নি। উৎপাদন কম হওয়ায়, আকার-আকৃতিতে বড় না হওয়ায় কুল চাষে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন অনেকে।এবার অনুকুল আবহাওয়ায় উল্টোচিত্র। আকার-আকৃতির সাথে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে কুল চাষীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। অনুকুল আবহাওয়া থাকায় ফলন বৃদ্ধির সাথে সাথে কুলের আকার-আকৃতি ও স্বাদ বেড়েছে। কালিরছড়ার বাউকুল চাষী নুরুল হুদা এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি ১৮ কানি জমিতে কুল চাষ করেছেন। বিগত বছরের ছেয়ে এবছর সফলও হয়েছেন। ঈদগাঁও উপজেলা ও ঈদগড়ের মিলিয়ে সবচেয়ে বড় বাউকুল বাগান হচ্ছেন স্থানীয় শিয়াপাড়ারস্থ পুরাতন ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন তার এ বাগানটি। গত একমাসে প্রায় দশলক্ষ টাকার কাছাকাছি ব্যবসা হয়েছে। তার বাগানের স্বাদের এ বাউকুল ঈদগাঁওসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাইকারী হিসেবে নিয়ে যাচ্ছেন বিক্রেতারা।

চট্টগ্রাম সংবাদ/ আই এইচ।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.