এবি পার্টি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন সিদ্দিকুর রহমান

 

নিজস্ব সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম।

আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর এবি পার্টি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বিজয়নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এই ঘোষনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু এবং পরিচালনা করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

অনুষ্ঠান শেষে এবি পার্টির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক অফিসিয়াল সার্কুলারে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য জনাব মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘জনসংযোগ ও ব্র্যান্ডিং সমন্বয় কমিটি’র সমন্বয়ক’ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগের সক্রিয় তরুণ সংগঠক ছিদ্দিকুর রহমান প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এবি পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিবেদিত। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সক্রিয় সংগঠক হিসেবে তরুণ সমাজের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। কর্ণফুলী নদী কেন্দ্রিক তেরটি সিস্টার সিটির সমন্বয়ে ‘সিটি গভর্নমেন্ট’ গঠনের প্রস্তাবসহ চট্টগ্রামের উন্নয়নে তাঁর পাঁচ দফা প্রস্তাবনা স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।

এছাড়াও ছিদ্দিকুর রহমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কৃতি শিক্ষার্থী (৩৭তম ব্যাচ)। তিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস (অনার্স) ও এমএসএস (মাস্টার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষাজীবন থেকেই ২০০৭ সালে দারিদ্র্যপীড়িত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারে প্রতিষ্ঠা করেন উইশ-ওয়ার্ল্ড ইন্টেগ্রিটি ফর সার্ভিং হিউম্যানিটি, যার মূল লক্ষ্য ছিল দারিদ্র্য দূরীকরণ ও মানবিক মর্যাদা পুনঃস্থাপন।

তিনি উদ্ভাবন করেন “মাইক্রো সাপোর্ট” মডেল, যা ক্ষুদ্র অথচ তাৎক্ষণিক সহায়তার মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলে। পরবর্তীতে এই দর্শনের ভিত্তিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সিসিজেডএম–সেন্টার ফর করপোরেট জাকাত ম্যানেজমেন্ট, উইশ ব্যাংক এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আলোর স্কুল।

সিদ্দিকুর রহমান জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর চট্টগ্রামকে উন্নত, প্রযুক্তি ও সেবা নির্ভর আধুনিক নগর গঠনের প্রত্যয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন “চট্টগ্রাম ২.০” যা ইতিমধ্যেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রাজনীতির প্রধান উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণে কাজ করা। আমি আমার সারা জীবন জনকল্যাণে ব্যায় করেছি এবং উৎকৃষ্ট রাজনীতির বাহক এবি পার্টির সাথে যুক্ত হয়েছি৷ এবি পার্টিকে আমি অন্তরে ধারণ করি এবং এবি পার্টির আদর্শকে বুকে লালন করি। অতএব দলের হাই কমান্ড যখন যে দায়িত্ব দিবেন তা সর্বোচ্চ পালন করার জন্য আমি অঙ্গীকারবদ্ধ।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.