আদালতের আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে জবরদখলের নয়-ছয়

 

সৈয়দ আক্কাস উদদীন

লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আলী সিকদার পাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জোর পূর্বক ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগী মামলার বাদী মো. সাইফুল ইসলামের পিতা মৃত: নুরুল হক। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম গংদের সাথে জমিজমা নিয়ে একই গ্রামের প্রভাবশালী প্রবাসী বদিউল আলম গংদের বিরোধ চলে আসছিল। পদুয়া মৌজায় বি এস খতিয়ান নং-২২৮২ ও বিএস নং-৩৪১৭ দাগের জমি বাদীর পিতার বন্দোবস্তীকৃত ও বি এস রেকর্ডীয় জমি নিয়ে বদিউল আলম গংদের সাথে বিরোধ দেখা দিলে বাদী পক্ষ লোহাগাড়া সহকারী জজ আদালতে অপর ২৩/২১নং মামলা দায়ের করেন। বিরোধীয় জমিতে প্রতিপক্ষ বদিউল আলম গংরা ক্ষমতার জোরে ভবন নির্মাণ করে দখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে।
ইতোমধ্যে নালিশী ভূমিতে আদলতের নির্দেশে এডভোকেট কমিশনার তার প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। নালিশী জমিতে বাদী পক্ষ নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করিলে শুনানীআন্তে আদালত উভয় পক্ষকে নালিশী জমিতে স্হিতাবস্হা বজায় রাখার জন্য আদেশ প্রদাণ করেন এবং মাননীয় আদলত নালিশী জমিতে স্হিতাবস্হা বজায় রাখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিতে লোহাগাড়া থানাকে নির্দেশ প্রধান করেন।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা মামলা থাকা সত্ত্বেও তা উপেক্ষা করে প্রভাবশালী প্রবাসী বদিউল আলম গং, তার স্ত্রী মোসা. জাহানারা বেগম ও তার ভাই ইসহাকের নৈতৃত্বে একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মিলে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল ৮টায় বিরোধীয় জমিতে ভবন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেন।
এই ব্যাপারে বাদী নিরুপায় হয়ে লোহাগাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের বিষয়ে লোহাগাড়া থানা ওসির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিচ্ছি।
উক্ত বিষয়ে বাদীর কাছ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ যাওয়ার আধাঘণ্টা আগেই নির্মাণ শ্রমিক অবৈধ ভবন নির্মানকারীরা সরে যান। ভুক্তভোগী মামলার বাদী ওই ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী প্রভাবশালীদের কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।’

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.