আনোয়ারা প্রতিনিধি
গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেও দেখা যাবে না কোনো খেজুরগাছ। খেজুর গাছের সঙ্গে শীতের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। শীতকালে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুরগাছ থেকে পাওয়া যায় সুমিষ্ট রস, গুড়। ফল হিসেবেও খেজুরের জুড়ি নেই। শীতের মিষ্টি রোদে খেজুরের গুড় দিয়ে মুড়ি খেতে কে না ভালোবাসে? আর এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে চট্টগ্রামের আনোয়ারার পর্যটন কেন্দ্র পারকি সমুদ্র সৈকতে বেসরকারি ভাবে গড়ে উঠা লুসাই পার্কের আশপাশে সৌন্দর্য্যের জন্য লাগানো হয়েছে ৩৭টি খেজুর গাছ।
আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে খেজুর গাছের কদর নেই বললেও চলে। একসময়ে ঝোপঝাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত খেজুর গাছ। কয়েক বছর আগেও রসের জন্য গাছ কাটার প্রাথমিক কাজগুলো করার হিড়িক পড়ত গ্রাম-গঞ্জে। আড়াআড়িভাবে বাঁধা বাঁশের দণ্ডে দাঁড়িয়ে কোমরে ও গাছে রশি পেঁচিয়ে ধারালো দা দিয়ে গাছিদের গাছ চাঁছা বা কাটার দারুণ দৃশ্য এখন তেমন চোখে পড়ে না। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ধরে রাখতে লুসাই পার্ক কৃতপক্ষ নিয়েছে খেঁজুর গাছ লাগানো ব্যতিক্রম উদ্যোগ। সৌন্দর্য্যের জন্য লাগানো হয়েছে ৩৭টি খেজুর গাছ। সে গাছ গুলো থেকে খেজুরের রস আহরণের জন্য গাছিরা গাছ প্রস্তুত করে রেখেছেন।
স্থানীয় বারশত ইউপি চেয়ারম্যান ও লুসাই পার্কের পরিচালক এম.এ কাইয়ূম শাহ্ জানান, আর মাত্র কয়েক দিন পরই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হবে। রস আহরণের জন্য গাছ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এ পার্কে ৩৭ টি খেঁজুর গাছ লাগানো হয়েছে। আরো অনেক গাছ লাগানো হবে। তিনি আরো জানান, শুক্র-শনিবারই বেশি পর্যটক আসেন পারকি সৈকতে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গড়ে ওঠা এ রিসোর্ট ছাড়া ভালো মানের কোনো হোটেল-রেস্তোরাঁ নেই। ভবিষ্যৎ বড় পরিসরে রিসোর্ট গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানেও সৌন্দর্য্যরে জন্য লাগানো হবে খেঁজুর গাছ।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা কৃষি অফিসার হাসানুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এখন পারকি সৈকতে দিনদিন পর্যটক বাড়ছে। সুযোগ-সুবিধা বাড়লে একসময় এ সৈকত আরও জনপ্রিয় হবে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে খেঁজুর গাছ হারিয়ে যাচ্ছে। খেঁজুর গাছ পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। লুসাই পার্কে খেঁজুর গাছ লাগানো উদ্যোগ আসলে প্রশাংসনীয়। সরকারের নির্দেশনা রয়েছে খেঁজুর গাছ লাগানোর।
সম্পাদনা: আই এইচ