বুধবার তালিবান ও চীন যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তানের আকাশসীমায় ড্রোন উড়ানো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে এ ধরনের পদক্ষেপ আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং তাদের পারস্পরিক চুক্তির লঙ্ঘন।
তালিবান এক বিবৃতিতে বলেছে, ” সমস্ত আন্তর্জাতিক অধিকার, আইন ও কাতারের দোহায় ইসলামিক আমিরাত [তালিবান]কে দেয়া প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে
আমরা সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন আফগানিস্তানের ‘পবিত্র’ আকাশসীমায় প্রবেশ করতে দেখেছি”।
ইসলামপন্থী দলটি ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালের চুক্তির কথা উল্লেখ করেছে, যে চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো সেনাদের দেশ ত্যাগের পথ করে দিয়েছে। আফগান যুদ্ধে প্রায় ২০ বছরের আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার অবসান ঘটিয়ে গত মাসে প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ হয়।
তালিবান বিস্তারিত না জানিয়ে সতর্ক করে বলেছে, “আমরা সব দেশ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক অধিকার, আইন এবং প্রতিশ্রুতির আলোকে আফগানিস্তানের সঙ্গে আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বাহ্যত পেন্টাগনের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাবে এই সতর্ক বার্তাটি দেওয়া হলো। পেন্টাগন বলেছিল যে ওয়াশিংটন আফগানিস্তানে ” যে কোন প্রান্ত থেকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান চালানোর জন্য তাদের পূর্ণ অধিকার রাখে”।
পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কার্বি শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এই শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।” “বিমান অভিযানকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট নিয়মের কথা না বলে, আকাশসীমা মুক্ত করার বিষয়ে তালিবানের সঙ্গে কথা বলার কোন প্রয়োজন নেই এবং আমরা আশা করি না যে ভবিষ্যতে কোনো সন্ত্রাস-বিরোধী হামলা এই ধরনের ছাড়পত্রের উপর নির্ভর করবে।”
চীন বুধবার আফগান আকাশসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন অভিযানের বিরোধিতা করেছে।
বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, “আন্তরিকভাবে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মান করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, “আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যাসগত খেয়ালখুশি মতো সামরিক হস্তক্ষেপ এবং নিজের ইচ্ছাকে অন্যদের উপর চাপিয়ে দেওয়া বন্ধ করা উচিত। মানুষকে দুঃখ-দুর্দশায় ফেলে দিয়ে বেদনাদায়ক ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো উচিত।”
ওয়াশিংটন অবশ্য বলেছে যে, আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের আফগান সহযোগী ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ বা আইসিস-কে’র সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবেলায় দেশের বাইরে থেকে বিমান হামলা চালানোর জন্য “দিগন্তের অপর প্রান্ত থেকে” ক্ষমতা ব্যবহার করবে।