লোহাগাড়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুরে মিলল লাশ

বিশেষ প্রতিনিধি

 

লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কুসাঙ্গের পাড়া মহাবৌধি বৌদ্ধ বিহার পার্শ্বস্থ পুকুর থেকে এই যুবকের লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবকের নাম জনি দাশ (১৮)। তিনি বড়হাতিয়া ধুপি পাড়ার সুনীল চন্দ্র দাশের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জনি দাশ মনুফকির হাটে ধুপির দোকান করত। গত শনিবার সন্ধ্যা হত পর বাড়িতে যায়নি। বাড়ীতে না আসায় তার মা-বাবা বন্ধুর সাথে বেড়াতে গিয়েছে ভেবে কোথায়ও খুঁজে দেখিনি। সোমবার বড়হাতিয়ার কুসাঙ্গের পাড়া মন্দির সংলগ্ন পুকুরে শিমুল নামে এক যুবক লাশ দেখতে পেলে তার স্বজনদের খবর দিলে পুকুরে জনির লাশের পরিচয় পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাকারিয়া রহমান জিকু, লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ, চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুুহাম্মদ রাফিকুল ইসলাম জামান ও বড়হাতিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এমডি জুনাইদ চৌধুরী প্রমূখ।

নিহতের বাবা সুনীল চন্দ্র দাশ জানান, গত ৯অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় জনৈক বন্ধু মুঠোফোনে ডাকে। পরে, আর ফিরে আসেনি ঘরে। তার বাবার ধারণা, ছেলে বন্ধুর সাথে কোথাও বেড়াতে গিয়েছে। তাই, তার খোঁজ নেওয়া হয়নি। ধারণা ছিল ছেলে ফিরে আসবে। মর্মান্তিক, পুকুরে পাওয়া গেল লাশ। শিমুল নামে এক দোকানদার ছেলের লাশ মন্দিরের পুকুরে ভাসতে দেখে সংবাদ জানায়। তিনি ছেলে হত্যার বিচার দাবী করেন।

নিহত জনির ছোট ভাই অভি দাশ (১৫) বলেন, তার ভাইয়ের সাথে লন্ড্রিতে সেও থাকতো। গত শনিবার রাত ৮টার সময় তার ভাইয়ের মোবাইলে কল আসলে সে তাঁড়াতাড়ি দোকান থেকে বের হয়ে যায়। জিজ্ঞেস করলে জানায়, বন্ধু তাকে কল দিয়েছে। পরে আসবে বলে চলে যায়। অত:পর তিনি আর ফিরে আসেনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, সম্ভবত: এই কিশোরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.