অবরোধের পর সচল কক্সবাজারের প্রবেশমুখ

গুলিবিদ্ধ কক্সবাজার শ্রমিকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকলীগের নেতাকর্মী ও জহিরুলের সমর্থকরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুর দুটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দীর্ঘ দুই ঘণ্টা অবরোধের পর কক্সবাজার শহরের প্রবেশমুখ লিংরোডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

কিন্তু চারটার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) পঙ্কজ বড়ুয়া ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীরুল গিয়াসের সঙ্গে জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লা আনসারীর তাৎক্ষণিক আলোচনায় অবরোধ প্রত্যাহার করে গাড়ী চলাচলের জন্য স্বাভাবিক করে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক।

জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লা আনসারী বলেন, পরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদের অভিভাবক জহিরুল ইসলাম সিকদারের উপর গুলি চালানো হয়েছে। প্রশাসন এখনো তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি। তার প্রতিবাদে আমাদের এ অবরোধ। প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে দ্রুত সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হবে। তাই অবরোধ তুলে নিয়েছে শ্রমিকরা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শ্রমিকরা অবরোধ করেছিল। প্রশাসনের আশ্বাসে তারা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছে এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এর আগে, রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুরে চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গুলিবিদ্ধ জহির। তার মৃত্যুর বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন চমেকে থাকা জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুস।

নিহত জহির ইসলাম সিকদার কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংরোড এলাকার মো. জামাল আহমেদের ছেলে। তিনি জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ছিলেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ঝিলংজা ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী কুদরত উল্লাহ। তিনিও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাতে ঝিলংজার লিংরোড এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আরেক মেম্বার প্রার্থী লিয়াকতের লোকজন এসে কুদরত উল্লাহর নির্বাচনী অফিসে অতর্কিত গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে।
এ সময় মেম্বার প্রার্থী ও তার ভাই গুলিবিদ্ধ হন। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.