সৈয়দ আককাস উদদীন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পুলিশের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলাসহ অন্তত ১৫টি মামলার জামায়াত ক্যাডার কলাউজানের ৭নং ওয়ার্ডের আব্দুস সালামের পুত্র নুরুল আলম নুরুকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
২৫ শে ডিসেম্বর(শনিবার) বিকাল ২.৩০ এ – কলাউজানের কানুরাম বাজার সংলগ্ন পুকুর পাড় থেকে স্থানীয়দের বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে লোহাগাড়া থানার এস আই শ্যামল- কুখ্যাত জামায়াত ক্যাডার নুরুল আলম প্রকাশ নুরু(৫০)কে গ্রেফতার করেন।
পরে নাটকীয় কান্ড ঘটিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে লোহাগাড়া থানা পুলিশ গ্রেফতারের ৩ঘন্টা পরে আবার ছেড়ে দেয়।
জানা যায়-চুরি -ডাকাতি,ছিনতাই রাহাজানি,সরকারি সম্পত্তি বিনষ্টও হরণসহ এবং যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের সময় পুরো চট্টগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়কও লোহাগাড়া অচল করে দিয়ে দেশকে পঙ্গু বানিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা পোষনসহ অন্তত ১৫টি মামলার আসামী নুরুকে(৫০)গ্রেফতার করেন লোহাগাড়া থানা পুলিশের এসআই শ্যামল।
গ্রেফতার করে যথাযথ নিয়মে লোহাগাড়া থানার হাজতেও ঢুকিয়ে রাখেন দূর্ধর্ষ নুরুকে।কিন্তু রহস্যজনক নির্দেশনায় মোটা টাকা লেনদেনের ফলে গ্রেফতারের ঠিক ৩ঘন্টা পরই হাজত থেকে থানা-পুলিশ দূর্ধর্ষ এই আসামীকে রোগী সাজিয়ে নিজেদের হেফাজতে লোহাগাড়া পদুয়া হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে ছেড়ে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লোহাগাড়ার পদুয়া হাসপাতালের দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা বলেন -কুখ্যাত জামাত ক্যাডার নুরু কোন রোগী না হওয়াতেও অনেকটা লোহাগাড়া থানা পুলিশের চাপে তাকে (নুরুকে)চিকিৎসা করায়।
অপরদিকে জানাযায়-পুলিশ কর্তৃক চিকিৎসা নাটকের পর পরই ছাড়া পেয়ে কলাউজান এলাকায় আবারো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন লোহাগাড়ার পুলিশি আদুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরুল আলম নুরু।
কলাউজানের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ জানান- দেশদ্রোহী নাশকতা মামলাসহ অন্তত ১৫টি মামলার দূর্ধর্ষ আসামীকে ত্রাঁস এড়ানোর জন্য লোহাগাড়া থানা পুলিশ যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে গ্রেফতার করলেও ঠিক ৩ঘন্টা পর জামাই আদুরে রোগী সাজিয়ে পুলিশ প্রহরায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয় নুরুল আলম নুরুকে।
নুরুল আলম নুরু ছাড়া পাওয়া মাত্রই আমি এবং আমার সমর্থকদের মেরে ফেলার হুমকিসহ আবারো ত্রাস সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছেন,অথচ এরকম একজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের পর ঠিক ৩ঘন্টার মাথায় কিভাবে লোহাগাড়া থানা পুলিশ ছেড়ে দেয় আমার মাথায় আসছেনা!
আমি এখন আগামিকালের নির্বাচন নিয়ে শংকায় আছি।
লোহাগাড়া থানা পুলিশ নিশ্চয় মোটা অংকের বিনিময়ে এই কাজ করছে।
এদিকে লোহাগাড়া থানার ওসি জাকির হোসাইন বলেন-নুরুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা থাকতেই পারে তবে বর্তমানে কোন ওয়ারেন্ট নেই।
ওয়ারেন্ট না থাকলে আপনার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করল কেন?এমন প্রশ্ন করা হলে ওসি জাকের হোসাইন বলেন -মোবাইল পার্টিকে কেউ হয়তো ওল্টাপাল্টা নিউজ দিলো যেমন টাকা পয়সা বিলি করছে এরকম সেরকম আর কী।
তাই নিয়ে আসলো অথচ তার শরীরে কোন টাকা পয়সা পাওয়া যায়নি।
নাকি আপনারা মোটা অংকের টাকায় এমন দূর্ধর্ষ আসামীকে ছেড়ে দিলেন?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমরা মোটা অংকের টাকাও নিই -নাই চিকন অংকের টাকাও নিই নাই।
থানায় আনার পরে দেখি ওয়ারেন্ট নেই এবং সে (,নুরু)অসুস্থ হলে হাসপাতালে পাঠাই।এর বেশী কিছু আমি জানিনা।