আজিম উদ্দিন:
কেঁওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের খুব শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া রহমান জিকু।
সোমবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সংবাদকে এ কথা বলেন তিনি।
এএসপি বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করি। ঘটনার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাড়ির গৃহকর্মী জমির উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। খুনিদেরকে খুব শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।’
এর আগে রোববার রাতে সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেঁওচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল হককে ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত আব্দুল হক (৮৫) উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের উকিল বাড়ির মৃত কাছিম আলীর ছেলে
গৃহকর্মী বুলু জানান, তিনি ১ মার্চ সকালে বাসায় কাজ করতে গেলে কোন সাড়া শব্দ না পেলে পিছনের দরজা দিয়ে গৃহে প্রবেশ করেন। এবং লক্ষ্য করেন রুমের মধ্যে বাড়ির কর্তা আব্দুল হক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং বাড়ির কাজের ছেলে জমির (২৫) কে হাত পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পাই। সৌর চিৎকারে স্থানীয়রা এসে লাশ উদ্ধার করেন এবং কাজের ছেলে জমিরকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক পিপিএম, সাতকানিয়া থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু, সাতকানিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল বশিরুল ইসলাম ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন।
তিনি আরো জানান, নিহত আব্দুল হকের মুখের বাম পাশে চোখ ও কপালে আঘাত করে হত্যা করা হয় এবং কাজের ছেলে জমিরকে মারধর করে হাত পা বেঁধে ফেলে চলে যায়। এছাড়া বাড়ির আলমারি ভেঙ্গে প্রয়োজনীয় অনেক কাগজ পত্র সহ অনেক কিছু নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
নিহতের ছেলে চট্টগ্রাম সংবাদ পত্রিকার চেয়ারম্যান মো. মঈন উদ্দিন বলেন, বাড়িতে আমার বাবা, একজন গৃহকর্মী, একজন গৃহপরিচারিকা ও একজন দারোয়ান ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। সোমবার সকাল ১০টার দিকে এলাকার লোকজনের মাধ্যমে আমার বাবাকে হত্যা করার বিষয়টি জানতে পেরেছি।