সাতকানিয়া প্রতিনিধি
ইউনিয়ন পরিষদের ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে অদৃশ্য শক্তির ইন্ধনে পরিস্থিতি ভয়ংকর করার অভিযোগ ওঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের পাশের বাসিন্দা জসিম উদদীন প্রকাশ মালাই জসিমের বিরুদ্ধে।আসলে ঘটনাটি কী? এবং কেন ঘটেছিলো এবং এত বড় ঘটনা ঘটার রহস্য উন্মোচন করার জন্য চট্টগ্রাম সংবাদ টীম ছদাহার মাঠে আছে তখন থেকে।
উল্লেখ্য-গেলো ৯ই জুন(বৃহস্পতিবার) ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে সালিশী সমাধানের জন্য যায় ছদাহার ৬নং ওয়ার্ডের মাওলানা হাফেজ শামশুল হকসহ তাদের ছেলেরা, একই এলাকার এনামদের সাথে পূর্ব জমি বিরোধের বিষয় নিয়ে -অভিযোগ ওঠে এক পর্যায়ে পক্ষদ্বয়ের সাথে হাতাহাতিও বাকবিতন্ডতায় জড়ায়,পরে একই ওয়ার্ডের মেম্বার নাজিম উদদীন, বয়স্ক হাফেজ শামসুল হককে এনামদের পক্ষ অবলম্বন করে প্রকাশ্যে বেদড়ক মারধর করার এমন অভিযোগ করেন পরিষদে থাকা উপস্থিত লোকজন।
তবে পরিষদের কেউ না হয়েও এবং বাদী বিবাদীর সাথে মালাই জসিমের কোন সম্পৃক্ততা না থাকার পরেও কেন বা মালাই জসিম সেদিন ঘটে যাওয়ার ঘটনার নেপথ্যে মূল-কারিগর ছিলেন এমন প্রশ্ন তোলেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজিমও মাষ্টারের ছেলে ফারুক। অন্যদিকে এমন বিষয়টি মাথায় নিয়ে অনুসন্ধানে নামেন চট্টগ্রাম সংবাদ।
প্রমাণ সরূপ কিছু ফুটেজও এসেছে এই প্রতিবেদকের কাছে মালাই জসিম উদদীনের বিরুদ্ধে।
ফুটেজে দেখা গেলো- ঘটনার মাঝপথে কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে জসিম ঘটনাস্থলে গেলেই পুনরায় আবারো উত্তেজিত হয় পরিষদের পরিবেশ।
শুধু এখানেই শেষ নয়- স্থানীয় নাজিম মেম্বারের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটিও রেখে দেন এই মালাই জসিম এমন অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য নাজিম নিজেই।
নাজিম আর ফারুক চট্টগ্রাম সংবাদকে আরো বলেন এই মালাই জসিম জামাত শিবিরের সক্রিয় কর্মী এবং নাশকতামূলক মামলায় জেলও খেটেছে, আজকে তার নেতৃত্বে ছদাহা আবারো অশান্ত হওয়ার পথে আমি বাদী হয়ে মোটর সাইকেল ছিনতাই এর অভিযোগে মামলা দায়ের করবো।
এদিকে সেদিনের ঘটনায় মালাই জসিম কেন গিয়েছিলো পরিষদে এমন প্রশ্নের জবাবে জসিম চট্টগ্রাম সংবাদকে বলেন -আমি করোনার ডোজ দিতে পরিষদে গিয়েছিলাম, তবে কেন হামলায় জড়ায় গেলেন এমন পাল্টা প্রশ্নে তিনি বলেন পরে কথা বলব আমি এখন মিটিং এ।
পরে অবশ্যই তিনি আর কল দেননি।