চট্টগ্রাম সংবাদে প্রকাশের জের: উত্তোলন করা হল হত্যা সন্দেহে গোপনে দাফনকৃত যুবকের লাশ

আত্মহত্যা নাকি আসলেই হত্যা-জানাযাবে ময়নাতদন্তে

 

সৈয়দ আককাস উদদীন

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেওচিয়া ইউনিয়নে হত্যা সন্দেহে দাফনাকৃত আমির হোসেন (১৯) নামক যুবকের লাশ উত্তোলন করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ১২ জুন (রবিবার) বেলা ১১ টায় ইউনিয়নের কাজির পাড়া কবরস্থান থেকে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মং চিনু মারমার নেতৃত্ব উত্তোলন করা হয় লাশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করছেন সাতকানিয়া থানার ওসি তারেক হান্নান, তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সংবাদের মাধ্যমে বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টিগোচর হওয়ার পরদিনই আমরা পোষ্টমর্টেমের আবেদন লিখে বিজ্ঞ আদালতে পাঠাই।

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ আমরা লাশটি উত্তোলন করেছি এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) আনুমানিক রাত ১১ টার সময় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কাজির পাড়া এলাকার ছেলে আমির হোসেনের পেছনে হাত বাঁধা ও গাছে ঝুলানো আবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয় একই এলাকার মোস্তাক আহমদের বাড়ির আঙ্গিনা থেকে। স্থানীয়রা হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করলেও মোস্তাকের পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছিল আত্মহত্যা বলে। তবে এ ঘটনায় ময়নাতদন্ত না করে পরদিন লাশ দাফন করা হয়েছিল। অস্বাভাবিক এই মৃত্যু এলাকার মানুষদের মনে প্রশ্ন জাগালে এক পর্যায়ে ঘটনার বিষয়ে জানাজানি হয় চারিদিকে।

 

নিহত আমির

 

পরে ঘটনাকে কেন্দ্র করে একুশে পত্রিকাসহ চট্টগ্রাম সংবাদ পত্রিকায় “সাতকানিয়ায় হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান।

পরে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে আইনগত পদক্ষেপ নেয় থানা পুলিশ। পরদিন সাতকানিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নিহতের ভাই জমির উদ্দীন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আজ লাশ উত্তোলন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

তবে ঘটনার অন্তরালের সাথে বারংবার কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের একজন প্রভাবশালী ইউপি সদস্যের নামও জড়াতে শোনা যাচ্ছে নিহতের পরিবারের মুখে এবং স্থানীয় লোকমুখে।

ওই ইউপি সদস্যের গতিবিধিও ঘটনার সাথে ইউপি সদস্যের কতটুকু সম্পৃক্ততা তা নজরে রেখে প্রকৃত ঘটনার আদ্যোপান্ত খুজাঁর চেষ্টায় আছে চট্টগ্রাম সংবাদ।

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.