সাতকানিয়ায়-ভূয়া বিয়ে করানোর অভিযোগে কাজীর বিরুদ্ধেও মামলা

সোনাকানিয়া

 

নিজস্ব প্রতিবেদক 

সাতকানিয়ায় মাত্র নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ভুয়া জন্মসনদের মাধ্যমে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ  ওঠেছে।একই সাথে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কাজী খলিলুর রহমানকে আসামী করে মোট ১২জনের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।

উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আসাদতলী এলাকার আবু তাহেরের বিরুদ্ধে তার কন্যার জন্মসনদে জালিয়াতী করে ফুঁসলিয়ে এক যুবককে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে আলী আহমদ।

আর এই ঘটনায় আলী আহমদ বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন পরবর্তীতে সেই অভিযোগ অনুসারে আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেন।

আদালতে দায়ের করা অভিযোগমতেও স্থানীয়সুত্রে জানাযায় -গত ১০ই আগষ্ট সন্ধ্যায় আলী আহমদের পুত্র মোহাম্মদ জোনায়েদকে আবু তাহের মুঠোফোনে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান,জোনায়েদের সাথে আরো ২বন্ধুও যান আবু তাহেরের বাড়িতে।
কিন্তু তিনজনকে সুকৌশলে আটকে রাখেন আবু তাহের।
পরের দিন জোনায়েদের ২বন্ধুকে ছেড়ে দিলেও ছাড়া হয়নি জোনায়েদকে।

জোনায়েদ থেকে যায় আবু তাহেরের বাড়িতে।
আর আবু তাহের ১১আগষ্ট শহরে নিয়ে গিয়ে ভুয়া জন্মসনদ দিয়ে তার নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ের বয়স ২১দেখিয়ে বিয়ে পড়িয়ে দেন।

এদিকে সোনাকানিয়ায় অনুসন্ধানে জানাযায়-মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ায় স্থানীয় কাজি আবু তাহেরের মেয়ে বিয়ে পড়াতে অপারগতা প্রকাশ করলেই -শহরে গিয়ে বিয়ে পড়ান।কিন্তু সেখানেও জালিয়াতি করে বিয়ের তারিখ বসানো হলো ২৯/৭/২০২২।
অথচ!জোনায়েদ আবু তাহেরের বাড়িতে গেল ১০তারিখ সন্ধ্যায়।

এদিকে আবু তাহেরের মেয়ে লেখাপড়া করেন মীর্জারখিল বাজারের দক্ষিণ পাশের একটি দাখিল মাদ্রাসায়।

মাদ্রাসায় গিয়ে নবম শ্রেনীতে যে পড়ে তারও সত্যতা পাওয়া যায়।

নবম শ্রেনীর হাজিরা খাতায় দেখা যায় আবু তাহেরের কন্যার রোল নং ৭৩ সেই হিসেবে বয়স ১৪ কিন্তু জন্মসনদ নেয়া হল ২১বছর বয়স দিয়ে।
এদিকে সাতকানিয়া থানার এসআই সুব্রত দাশ আসাদতলীতে আবু তাহেরের বাড়িতে গিয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেন অভিযোগের বাদী আলী আহমদ।

এদিকে অভিযুক্ত আবু তাহের বলেন-জোনায়েদের জন্য আমার মেয়ের আরেকটা বিয়ের কাবিন ভাঙতে হলো।

জোনায়েদই প্রথম বন্ধুদের নিয়ে আমার মেয়েকে শহরে নিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করতে চাইছিল।
কিন্তু কোর্ট বন্ধ থাকার কারণে সে বিয়ে করতে না পারায় আমার মেয়েকে তার বন্ধুদের দিয়ে আমার বাড়িতে পাঠায় দিলে আমার সমাজে আমার সম্মান নষ্ট হয়।

পরে আমি কৌশলে জোনায়েদকে ডেকে তার ইচ্ছা- মোতাবেক আমার মেয়েকে তার কাছে বিয়ে দিই।এখানে জোরাজুরির কিছুই ছিলনা।
তবে স্থানীয় ভাবে বিয়ে পড়ায়নি সেটাও স্বীকার করেন তিনি।

 

এদিকে মানবাধিকার নেতাও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সাতকানিয়ার সরোয়ার কামাল বলেন- আমি মেয়েটির জন্মসনদ থেকে শুরু করে পিএসসির সনদ চেয়ারম্যান প্রত্যায়ন মাদ্রাসার রেজিস্ট্রারের তথ্য সকল কিছু নিয়ে চট্টগ্রামের কাজীর দেওড়ী এলাকার কাজী খলিলুর রহমানকেসহ মোট ১২জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আলী আহমদকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।

এই মামলায় মূলত মেয়ের পরিবার ফেঁসেই যাবে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.