নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দিলে তিন বছর জেলের সুপারিশ

আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব ইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনের সময় দায়িত্বরত সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে তিন বছরের শাস্তির বিধান রেখে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল ও জরিমানা সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া সংসদ নির্বাচনে সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেয়ার প্রচেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।

গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

আহসান হাবিব খান বলেন, বর্তমান কমিশন কিছু কিছু আইন পরিবর্তনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। যেহেতু আপনারা আমাদের চোখ-কান। আমাদের বদলে আপনারা হাজির (ভোটকেন্দ্রে) থেকে সংবাদগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরেন। আপনাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা আইনে একটি নতুন সংযোজন করেছি। তা হচ্ছে, আপনাদের দায়িত্ব পালনে যদি কেউ বাধা দেয়, আপনাদের যদি কেউ হেনস্তা করে এবং আপনাদের ইকুইপমেন্ট ও সঙ্গী-সাথীদের ক্ষতির চেষ্টা করে, তাহলে সর্বনিম্ন এক বছর এবং সর্বোচ্চ তিন বছরের জেলের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে।

ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অনিয়ম, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার। এজন্য এ নির্বাচনে ২৬৫টি ভোটকক্ষের ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরা রেখেছি। কন্ট্রোল রুম আমাদের ইসিতেই আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেখানে অনিয়ম ধরা পড়েছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। জোরপূর্বক একজনের ভোট আরেকজন দেয়ার চেষ্টা করেছে, আমরা তা চিহ্নিত করেছি। মাঠ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত হয়। এছাড়া যারা সন্ত্রাসী, জোরপূর্বক ভোট দেয়ার চেষ্টা করে থাকে, তারা ভয়ের মধ্যে থাকে। ১১টি বুথে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অনিয়মে জড়িতদের সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় এনেছি। সংসদ নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেয়ার আন্তরিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা থাকবে। এটার সঙ্গে আর্থিক ও ট্যাকনিক্যাল সাপোর্টের বিষয় আছে। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটও নেই। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে। বাজেট বরাদ্দের ঘাটতি থাকলে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোয় সিসি ক্যামেরা দেব। সংসদের আগে যত নির্বাচন হবে সবটিতে ইভিএম ব্যবহার করব এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.