সাতকানিয়ায় রহস্যের বেড়াজালে ইউএনও বদলি!

চট্টগ্রাম সংবাদ

এক বছরে সাতকানিয়ার তিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বদলি হয়েছেন। গত ৪ মার্চ বর্তমান ইউএনও মো. আব্দুস সালাম চৌধুরীকে সরিয়ে নতুন ইউএনও করা হয় হবিগঞ্জের বৈশাখী বড়ুয়াকে। যদিও সেদিনই সে আদেশ বাতিল করে দেওয়া হয় নতুন আদেশ। সেই আদেশের ১৫ দিন যেতে না যেতেই আবারও বর্তমান ইউএনওকে সরিয়ে কুমিল্লার লালমাইর ইউএনও মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে সাতকানিয়ায় পদায়ন করা হয়।
রবিবার (১৪ মার্চ) অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার জহিরুল ইসলাম এ সংক্রান্তে একটি আদেশ জারি করেন।

এদিকে ঘন ঘন ইউএনও বদলিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা—রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে ঘন ঘন তাদের বদলি হচ্ছে।

মুক্তিযোদ্ধা প্রণব ধরকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা না দেয়া, জুতা নিয়ে শহীদ বেদিতে ওঠাসহ সাতকানিয়া সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সৈয়দ আককাস উদদীনের নানা নিউজের বিতর্কের মধ্যে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি বদলি হন। একইদিনে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয় মোহাম্মদ নূর-এ-আলম। সেবছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি যোগদান করেন। যোগদানের সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই স্থানীয় এমপি আবু রেজা মুহম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীকে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অর্ভথ্যনা জানানো নিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়েন তিনি। ঘটনার তিন মাস ২১ দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়াতে বদলি হন তিনি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন বর্তমান ইউএনও মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী। এবছরের ৪ মার্চ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার জহিরুল ইসলাম সাক্ষরিত এক আদেশে সাতকানিয়ায় ইউএনও হিসেবে পদায়ন করা হয় চাঁদপুরের হবিগঞ্জের ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়াকে। একইদিনে সেই আদেশ বাতিল করে তাঁকে নেয়া হয় খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে।

গত ১৪ মার্চ রবিবার আবারও বর্তমান ইউএনও মো. আব্দুস সালাম চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত করা হয় কুমিল্লার লালমাই উপজেলার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বাতিল হতে পারে এ আদেশটিও।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.