কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে শিশু পার্ক না থাকায় বিনোদনের সুযোগ থেকে পিছপা হয়ে পড়েছে শিশু-কিশোরেরা। তাই বিশেষ বিবেচনায় বৃহত্তর এলাকাতে শিশু পার্ক স্থাপনের দাবীও উঠেছে। সচেতন মহল জানান, ঈদগাঁওতে শিশু পার্ক ও বিনোদনের স্পট গড়ে উঠলে পর্যটন খাতে সরকার রাজস্ব আদায় করতে পারবে। পড়ন্ত বিকেলে এলাকার লোকজন চৌফলদন্ডী দৃষ্টনন্দন ব্রীজসহ পাশ্বর্বতী দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে কিছুটা হলে বিনোদন করতে পারলে ও কিন্তু শিশুরা বঞ্চিত বিনোদন থেকে। শিক্ষার্থীরা জানান,শিশুদের জন্য বিনোদনের জন্য একটি শিশু পার্ক অতীব জরুরী। যাতে করে, লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছুটা সময় হলে ও বিনোদনের মাধ্যমে মনমানসিকতাকে পরির্বতন করতে পারবে শিশুরা। শিশুসহ নানা পেশার মানুষের জন্য বাড়তি একটি বিনোদন কেন্দ্র খুবই দরকার। সাকিব,মিয়াজী,মাহবুব জানান, দুরদুরান্ত থেকে ভ্রমনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকরা ছুটে আসে। অথচ তাদেরকে কিছুটা সময় বিনোদনের মাধ্যমে ধরে রাখতে কোন আয়োজন নেই। শিশুদের মুগ্ধ করার মতো বাড়তি কিছুর অভাববোধ করে সকলে। আইরিন,জামি,জেরিনসহ কয়জন শিশু জানান, শিশু পার্ক থাকলে অনেক মজা হতো। বিনোদন বলতে বাবা-মা,ভাই বোন কিংবা কোন আত্বীয় স্বজনদের সাথে কোন না কোন স্থানে বেড়াতে যাওয়া ছাড়া আর কোন জায়গা নেই। শিশু পার্কের আনন্দটা আলাদা। ঈদগাঁও তে একটি শিশু পার্ক খুবই জরুরী। স্থানীয়দের মতে, ঈদগাঁওতে প্রাকৃতিক সৌন্দয্যে রাবার ড্রাম পয়েন্টে যদি শিশু পার্ক স্থাপন করা হয়,তাহলে সেই অনুপাতে পর্যটক সুবিধা বাড়তে পারে বলে আশাবাদী তারা। হয়তো এটি পর্যটন শিল্প বিকাশে বহুদূর এগিয়ে যাবে। আগামী প্রজন্মের শিশুদের জন্য শিশু পার্ক স্থাপন সময়ের দাবী।