ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, প্রতারণা, হয়রানি, সাজানো মামলায় ফাঁসানো ও হুমকির অভিযোগ এনে ও বিচার দাবিতে গৃহবধু রেহানা আক্তার সুমী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মঙ্গলবার শহরের একটি হোটেলে রেহানা আক্তার সুমী সংবাদ সম্মেলনে তার প্রতি নির্যাতন, নিপীড়ন, হুমকি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ও প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন।
রেহানা আক্তার সুমী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা পিটিশন মামলা সিআইডির কাছে হস্তান্তরেরও দাবী জানান।
লিখিত বক্তব্যে রেহানা আক্তার সুমী বলেন, ঘোপাল ইউনিয়নের মুহুরীগঞ্জে আমার স্বামীর বাড়ী। দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ও স্বামীর বেপরোয়া জীবনের প্রতিকার চেয়ে ঘোপাল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিকের শরণাপন্ন হই। এটাই আমার জীবনের কাল হয়েছে। তিনি আমাকে বিয়ের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে টানা ৩ বছর ধর্ষণ করেছেন। বিয়ে না করে চলচাতুরির মাধ্যমে আমার সর্বস্ব লুটে নিয়ে আমাকে মেরে ফেলতে ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করে।
পরে আমাকে ফেনীর পেট্রেবাংলার একটি বাসায় মানিকের ক্যাডার বাদশা-১, বাদশা-২, এনাম, ফারুক, সবুজকে দিয়ে দেড়মাস আটকে রাখে। এরপর মানিক আমাকে ঢাকায় নেওয়ার কথা বলে তার গাড়িতে করে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার একটি নিভৃত পল্লীতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমাকে ভারতে পাচার করার ষড়যন্ত্র করে।
এর আগে ঘোপালে বালুমহালে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারিতে এক প্রবাসী বাদশার ক্যাডারদের হাতে নিহত হয়। ডিবি পুলিশ মোবাইল টেকিং এর মাধ্যমে আসামি ধরতে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে। ফেনীর পুলিশ কোর্য়াটারে আবদুর রহিম প্রকাশ আফছার (আজিজুল হক মানিকের পরিচিত) আমাকে তার বাসায় আটকে মানিকের নির্দেশে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার চেষ্টা করে।
এরপর ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মানিকের ক্যাডার ইকবালের মাধ্যমে প্রাইভেটকার পাঠিয়ে আমাকে চট্টগ্রাম যেতে বলে। আমি চট্টগ্রাম গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পুলিশের সাথে আঁতাত করে আমাকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয় মানিক। ওই মামলায় আমি জেলে যাই। পরে জানতে পারি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ মামলায় আজিজুল হক মানিককে ২নং আসামি ও ইকবালকে ৩নং আসামি করে চার্জশীট দেয়।