চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে পারিবারিক ঝগড়ার জেরে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার আব্দুল লতিফ হাটখোলা এলাকার বাসা থেকে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার লিজা আক্তার (২৩) তার স্বামী আব্দুস শুক্কুর সোহেলের সঙ্গে ওই বাসায় থাকতেন। তাদের ছয় বছর ও তিন বছর বয়সী দুই মেয়ে আছে।
মৃত আব্দুস শুক্কুর সোহেলের (৩৮) বাড়ি বাঁশখালীর চাম্বল উপজেলায়। তবে তার বাবা-মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা নগরীর বাকলিয়ায় আলাদা বাসায় থাকেন।
গত সোমবার রাত সোয়া ১০টায় অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সোহেলকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার তার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে পুত্রবধূ লিজা আক্তারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সোহেলকে তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন মিলে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে সোহেলের বাবা ও ছোট ভাই হাসপাতালে যান। ততক্ষণে সোহেলকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এসময় সোহেলের বুকে ও পিঠে লালচে দাগ এবং গলায় নখের আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তার বাবা ও ভাই। তখনই তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, লিজা আক্তার খুন করেছে।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমে সোহেলের পরিবারের অভিযোগ আমাদের বিশ্বাস হয়নি। এরপরও আমরা লিজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন যে, সাংসারিক নানা বিষয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে সোহেলকে শ্বাসরোধ করে তিনি খুন করেন। এরপর সোহেলের বাবা হত্যা মামলা দায়ের করলে আমরা লিজাকে গ্রেফতার করি।’
মামলার এজাহারে বাদী আব্দুস সালাম উল্লেখ করেছেন, ২০১৫ সালে সোহেলের সঙ্গে লিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া চলে আসছিল। স্ত্রীর চাপে দুই বছর আগে শ্বশুরবাড়ির কাছে আলাদা বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করেন সোহেল। কিন্তু সেখানেও তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়া হতো বলে বাদী জানতে পেরেছিলেন।
এর জেরে লিজা আক্তার পরিকল্পিতভাবে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধের মাধ্যমে সোহেলকে খুন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন তার বাবা।