লোহাগাড়া পুলিশ ডাকাত ধরতে না পেরে ২বছর শেষে দিল চূড়ান্ত রিপোর্ট-সেই ডাকাত পিবিআইয়ের জালে মাত্র আড়াই মাসে

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া

 

সৈয়দ আককাস উদদীন

 

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার একটি বসত বাড়িতে গত ২০২০সালের ২২শে সেপ্টেম্বর দলবদ্ধ ডাকাতির ঘটনায় কোন আসামীকে শনাক্ত বা ধরতে না পারার কারণে অবশেষে লোহাগাড়া থানা পুলিশ সর্বশেষ ২০২২সালে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়, কিন্তু আদালত তা গ্রহণ না করে এই বছরের ১১ই সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই চট্টগ্রামকে দায়িত্ব দেন।

 

আদালত কর্তৃক মামলাটি পাওয়ার পরে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান পিবিআই ইন্সপেক্টর সিরাজুল মোস্তফাকে দায়িত্ব দেন।

সেই দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই পিবিআই ইন্সপেক্টর সিরাজুল মোস্তফা লোহাগাড়ার চুনতীর এই ডাকাতির ঘটনায় গোপনে -প্রকাশ্যে এবং বিশ্বস্ত নানান সোর্সের মাধ্যমে দীর্ঘ আড়াই বছর পরে উক্ত ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকা কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার মোহছেনিয়া কাটা নামক এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব বড় ভেওলা পাড়ার শুক্কুর মাষ্টারের ছেলে মো:মনছুরকে গ্রেফতার করেন পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার চৌকস ইন্সপেক্টর সিরাজুল মোস্তফা।

 

এ বিষয়ে পিবিআই ইন্সপেক্টর সিরাজুল মোস্তফা বলেন -চুনতীর সুফিনগরস্থ সৈয়দ নুর সওদাগরের বসগবাড়ি ২০২০সালে ২২শে সেপ্টেম্বর পরিবার পরিজনকে জিম্মি করে এবং একই পরিবারের সদস্য জসীম উদদীনকে মাথায় আঘাত করে ডাকাতি করা হলেও পুলিশ ঘটনার বিষয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়।

 

পরে মাননীয় আদালত তা পুনরায় তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দিলে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল স্যার আমাকে ওই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দিলে আমি ডাকাতির ঘটনায় প্রকৃত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই,এতে আমাকে দিকনির্দেশনা দিয়েছে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার স্যার এবং ঘটনার বিষয়ে সার্বিক তদারকি করেছেন পিবিআই জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান স্যার।

 

এদিকে চুনতীর বাসিন্দা ভুক্তভোগী  জসীম উদদীন বলেন-যে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ ২বছর পরে অপারগতা স্বীকার করে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছেন সেই ডাকাতির ঘটনায় পিবিআই আড়াই মাস না যেতেই আসামীকে গ্রেফতার করেছেন, এতে আমরা খুবই খুশি এবং পিবিআই চট্টগ্রাম জেলাকে ধন্যবাদ জানাই।

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.