স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা পটিয়ায় আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক

 

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামের পটিয়ায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য মো. আশরাফুল আলম ছোটনকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করায় নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত একজন স্বক্রিয় নেতাকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে বলে সূত্রে জানায়।
জানা গেছে, পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে গত ১১ নভেম্বর ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মোঃ আশরাফুল আলম ছোটন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেও ২০২১ সালে ঘোষিত পটিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে কমিটিতে ৩১ জনের কমিটিতে ১৫ নং সিনিয়র সদস্য পদে রয়েছে।

 


বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগের পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজন চক্রবর্ত্তীও ভূমিকা রয়েছে। বিজন চক্রবর্ত্তী জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর অনুসারী। পটিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি থেকেও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আশরাফুল আলম খোকন স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি থাকার বিয়ষটি এমপি সামশুল হক চৌধুরী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজন চক্রবত্তীকে জানানো হয়েছিল। তারা বিএনপির কমিটিতে থাকার বিষয়টি জেনে শুনে কমিটিতে পদ দিয়েছি, আমার বিএনপির কমিটিতে না থাকার বিষয়টি আমি এমপি সাহেবকে জানিয়েছি। কেলিশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আশরাফুল আলম খোকন কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে এ পদ কিনে নিয়েছে। সে বিএনপি জামায়াতের রাজনীতির সাথে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত থাকার পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন অপরাধের সাথেও যুক্ত, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে আমার কাছে প্রমান আছে।
এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওবাইদুল হক রিকু বলেন, আশরাফুল আলম খোকন আমাদের কমিটিতে আছে এটা ঠিক, কমিটি হওয়ার পর বিভিন্ন কর্মসূচিতে থাকলেও কিছুদিন ধরে নিস্ত্রীয়। গত সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্র্থীর পক্ষে তার যথেষ্ট ভূমিকা ছিল, তবে আওয়ামী লীগে পদ নেয়ার জন্য তার কাছে বিভিন্নভাবে প্রস্তাব আসছে বলে জানিয়েছিলেন। পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদ জানান, কেলিশহরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করার বিষয়টি বিভিন্নভাবে কানে আসলেও লিখিত কোন কাগজ পত্র হাতে আসেনি, যথাযথ কাগজ পত্র হাতে আসলে প্রমান পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

 

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন,ওয়ার্ডে যেখানে প্রতিযোগিতার কারণে অনেক ত্যাগী নির্যাতিত বিবেদিত কর্মীরা পদ পাচ্ছে না সেখানে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগের পদ পাবে এটা কল্পনাও করা যায় না। এর পেছনে যদি আওয়ামী লীগের কোন নেতা বা ব্যক্তি জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.