সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় মানা হচ্ছেনা কোন লকডাউন,মানার মত উপজেলা প্রশাসনের নেই তেমন কোন কার্যক্রম!

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাতকানিয়ায় মানা হচ্ছেনা কোন লকডাউন,মানার মত নেই তেমন কোন কার্যক্রম

সবকিছু চলছে স্বাভাবিক, মাঝে মধ্যে অভিযান চলায়  কিছুক্ষন সবকিছু বন্ধ হলেও পরে আবারো চলছে পুরোদমে আগের মত।

আজ ৫ই এপ্রিল (সোমবার)লকডাউনের প্রথম দিনই দক্ষিন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া কেরানীহাটে এমন দৃশ্য হাতে এসেছে চট্টগ্রাম সংবাদের কাছে।

লকডাউন সকাল থেকে শুরু হলেও সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন মাঠে নামে দুপুর ১টার দিকে,

দুপুর ১টার দিকে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম ও এসিল্যান্ড আল বশিরুল ইসলামসহ পুলিশ প্রশাসনের একটি টীম লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য তৎপরতা শুরু করলেও সকাল থেকে মোটেও কোন কার্যক্রম না রাখার কারণে, দক্ষিন চট্টগ্রামের বানিজ্যিক শহর কেরানীহাটের সবকিছুই ছিলো আগের মতই।

এমনকি সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন যখন কেরানীহাটে অভিযান চালাচ্ছিল তাদের সামনেই একটি যাত্রীবাহি ছারপোকা কেরানীহাট থেকে পটিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিলো।

পরে চট্টগ্রাম সংবাদের ক্যামেরার সামনেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভুমিকর্মকর্তা ওই ছারপোকার ড্রাইভারকে জরিমানা করেন।

তবে চট্টগ্রাম সংবাদ কতজনকে জরিমানা করা হয়েছে জানতে চাইলে আমরা মাত্র আসলাম পরে জানাবো,তবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দোহায় দিয়ে চট্টগ্রাম সংবাদের ক্যামেরায় ব্রিফিং দিতে নারাজ প্রকাশ করেছেন ইউএনও নজরুল ইসলাম।

এদিকে সরেজমিনে আরো দেখা যায়, কেরানীহাটের উত্তর পাশে কিছু ব্যবসায়ীদের সাথে মাঝে উপজেলা প্রশাসন জরিমানার বিষয়ে থেমে থেমে ঝগড়ায় জড়াচ্ছে এমন কিছু দৃশ্য ধরা পড়ে চট্টগ্রাম সংবাদের ক্যামেরায়।

এমন ঝগড়ার সময় দেখা মেলে খোঁদ উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের একটি টীম ও ব্যবসায়ীদের লোকজন এবং পাশে দাড়িয়ে থাকা গনপরিহন সবমিলিয়ে ছোটখাট একটি জনসমাবেশ জমে গেলো।

তবে প্রশ্ন এখন করোনা তাড়াতে গিয়ে,করোনার চাষ হচ্ছেনা তো এমনটাই প্রশ্ন তোলেছেন সাতকানিয়া সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সৈয়দ আককাস উদদীন।

চট্টগ্রাম সংবাদের ক্যামেরা আরো একটি দৃশ্য ধরা পড়ে খোঁদ উপজেলা প্রশাসনের একটি জীপে গাদাগাদি করে ৮/৯জনের মত ব্যক্তি বসতে যা সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনাকে দেখানো হয়েছে বৃদ্ধাঙ্গলি।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের  লোহাগাড়া উপজেলায় লকডাউনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কয়েক হাজার লোক জমায়েত করে করা হয়েছে বিশাল জনসমাবেশ,অথচ যেখানে টোটালি সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কথা!যেখানে সভা সমাবেশ মিছিল পর্যন্ত নিষিদ্ধ!সেখানে কিভাবে লোহাগাড়ার একাংশের ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের আয়োজনে প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন জনসমুদ্র হতে পারে তাও আবার সরকারি নির্দেশনাকে চ্যালেন্জ করে!

এই বিষয়ে জানার জন্য লোহাগাড়ার ওসির সরকারি নাম্বারে ফোন দিয়েও ফোনে পাওয়া যায়নি তাই কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

তবে লোহাগাড়ার ওসি তদন্ত(রাশেদুল ইসলাম)কে ফোনে পাওয়া যায়,তার কাছ থেকে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় সরকারি নির্দেশনার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন এবং এই প্রতিবাদ সভা করতে পুলিশের পরোক্ষ সহযোগিতার একটি ইনফরমেশন চট্টগ্রাম সংবাদের নিকট আছে নতুবা লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা চলাকালীন আপনাদের ভূমিকা নীরব ছিলো কেন?

কোন বাধায় দিলেননা কেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি, তবে পুলিশের সহযোগিতা থাকার প্রশ্নেও আসেনা এমন মন্তব্য করেন লোহাগাড়া থানার ওসি তদন্ত।আর আমরা পুলিশ প্রশাসন আগে থেকে জানতাম না এটা।

তিনি আরো বলেন,এর পরও  আপনি ওসি লোহাগাড়ার সাথে কথা বলার জন্য চট্রগ্রাম সংবাদকে বলেন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.