নাগরিকত্ব সমালোচনায় ক্ষিপ্ত : রবি

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে সমালোচনা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হবে বলে জানালেন ব্যবসায়ি রবি। পুর্ব সুত্রে জন্মগত এদেশের নাগরিক হওয়ার পরেও নিজ এলাকার অনেকেই তাকে রোহিঙ্গা রবি নামে নানান সমালোচনা করায় অবশেষে তিনি কোটি টাকার মানহানি মামলা করার সিদ্ধান্ত জানান। তার মতে বিধাতা সবাইকে সবকিছু দেয়না আমাকে হয়তো তেমনি কিছু দেননি যা আমার ভাষাগত দিক বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমার চৌদ্দপুরুষ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু আমার নিজস্ব ভাষা অন্যের কাছে উপস্থাপন করাটা অন্য সবার মতো স্বাভাবিক নয় তাই অনেকে হয়তো আমাকে রোহিঙ্গা বলে বিভিন্ন সময় প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু আমার এই উপনামটি বৃহৎ আকার ধারণ করায় পরবর্তীতে তা আমার এবং পরিবার পরিজনের সম্মানের বিষয় হয়ে উঠে। যেজন্য আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে নানামুখী ভিগ্নতার সম্মুখীন হতে হয়।এমনকি ছেলেমেয়ের ও লোকমুখে এমন কথার জন্য নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হয়।এছাড়াও অতি উৎসাহী স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষ এটাকে স্থায়ী রুপ দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের এই প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে গিয়ে আমি শেষমেশ কঠিন সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যা নিজের এবং পরিবারে সম্মান রক্ষা করা জন্য অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। এবং তাই আগামীতে কেউ যদি আমাকে রোহিঙ্গা নামে অভিহিত করে তাহলে আমি কোটি মানহানি মামলা করতে বাধ্য হবো। এমন হুশিয়ারি দিয়ে রবি নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন। তার দেয়া পূর্ব পরিচয়ের তথ্য মতে, কক্সবাজার শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের পূর্ব মহাজের পাড়ায় বসবাসকারী মৃত ফকির মোহাম্মদ এর ছেলে ব্যবসায়ী রবি আলম(৪৫)। পৈত্রিক নিবাস কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের সাহারঘোনা এলাকায়। জন্ম ও পৈত্রিক সূত্রে এ দেশের বৈধ নাগরিক। রবি আলম তার পৈতৃক সুত্র প্রকাশের বরাদ দিয়ে চকরিয়া সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত ওয়ারিশ সনদের তথ্য প্রকাশ করেন। উক্ত সনদের মতে উক্ত ইউনিয়নে বাংলাদেশ সরকারে ভুমি জরিপ মৌজা-সাহারঘোনা, ইউনিয়ন -সাহারবিল,উপজেলা চকরিয়া,জেলা কক্সবাজার বিএস খতিয়ান নং ২৪ ও ১২৫৬ এর মালিক আব্দুল করিম। আব্দুল করিম এর ৩ ছেলে,২ কন্যা। ছেলেরা হল, আজিম উদ্দিন প্রকাশ আইজ্যা,নজুম উদ্দিন ও ফজল করিম। কন্যাগণ হল,বইল্যা বিবি ও লাল মতি। এদের মধ্যে নজুম উদ্দিন হল রবি আলমের দাদা। নজুম উদ্দিন এর ৩ ছেলে ১ কন্যা।ছেলেরা হল – মোহাম্মদ শফি, ফকির মোহাম্মদ,কবির আহমদ ও জরিনা খাতুন। ফকির মোহাম্মদ হলো রবি আলমের মরহুম পিতা।ফকির মোহাম্মদ এর ২ ছেলে এবং ২ মেয়ে।ছেলেরা হল,মোজার আহমদ ও রবি আলম। ২ কন্যা হল, জহুরা খাতুন ও জরিনা খাতুন। রেকর্ডকৃত বিএস খতিয়ান নং ৪৬, জেএল নং ৪৪, মৌজা-সাহারঘোনা, ইউনিয়ন -সাহারবিল, উপজেলা – চকরিয়া সৃজিত খতিয়ান ফকির মোহাম্মদ এর নামে প্রচার আছে। বর্তমানে সেই খতিয়ানের ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হলো মৃত মোজার আহমদ,রবি আলম, জহুরা খাতুন ও জরিনা খাতুন। তার পিতা ফকির মোহাম্মদ ১৯৯১সনে নিজ গ্রাম চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন হতে সস্ত্রীক কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া এলাকায় চলে আসেন।যখন রবির বয়স ছিল ১৫-১৬ বছর। তৎকালীন ঘোনারপাড়া এলাকার আলম সওদাগরের বাসায় দীর্ঘদিন ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। ২০০১ সালে সেই আলমের বাসাতেই বার্ধক্যজনিত কারণে তার পিতা মৃত্যু বরণ করেন। তার মরহুম পিতাকে শহরের কেন্দ্রীয় বড় কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।পরবর্তীতে শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের পূর্ব মহাজের পাড়ায় ৪ শতক খাস জমিতে অন্যদশ জনের মত রবি আলম বসবাস শুরু করেন বর্তমানেও সেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। যার পৌর হোল্ডিং নাম্বার- ৮৬৯, ব্লক সি। রবি আলম ১৯৯৯ সালে চকরিয়া উপজেলাধীন বর্তমান পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কোচপাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মৃত আব্দুর রহিম এর প্রথম কন্যা আছিয়া খাতুনকে জীবন সঙ্গী করে ২২ বছরের সংসার জীবনে ২ ছেলে ৫ কন্যার জনক। রবি আলম এর কক্সবাজার শহরে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন রিক্সা চালক হিসেবে, পরবর্তী ঠেলাগাড়ির শ্রমিক ও বর্তমানে সৈকতের সুগন্ধা সী-বিচে চা-পান-সিগারেট ও গোলদীঘির পাড়ে একটি স্টেশনারির দোকান এবং কয়েকটি অটোরিকশার ব্যবসা দিয়ে বৈধ উপায়ে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করে।সে বৈধ কাগজ পত্র দিয়ে ২০০৮ সালে জাতীয় পরিচয় পত্র গ্রহন করেন। তার এনআইডি নাম্বার ২৮১ ৪৯২ ৩০৪৭,তার স্ত্রীর এনআইডি নাম্বার ৬৮৬ ৪৯২ ৯৫০৭। তিনি বলেন ইতিমধ্যে আমাকে রোহিঙ্গা আখ্যায়িত করা সেই স্বার্থান্বেষী মহলটি গেল কয়েকদিন যাবত সোশ্যাল মিডিয়া ও স্থানীয় অনলাইন পত্রিকায় ২-৩শ রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে রোহিঙ্গা রবি আলম শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কেটে সাবাড় করছে এবং খাস জমি দখল করে প্লট আকারে বিক্রি করছে বলে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট। মুলত আমি রোহিঙ্গা নাগরিক না,এবং আমি কোন পাহাড় কাটি না,আমার কাছে কোন রোহিঙ্গা শ্রমিক নেই। আমি নিজেই এখনো শ্রমিক যদিও আমার সামান্যতম দু’একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো আমার ছেলেসহ নিকট আত্নীয়রা দেখাশোনা করেন। তাই আমি শ্রমিক জীবনে কর্মরত আছি। যখন কেউ বলে তার নবনির্মিত ভবনের জন্য অপসারণ করা মাটিগোলা নিয়ে যেতে তা আমি আমার মজুরি সাব্যস্ত করে অন্যের ভরাট ইচ্ছুক জনিতে ভরাট করি তাও মজুরির বিনিময়ে। অনেক সময় এসকল জমি মালিকদের জমি ভরাটের জন্য নালা নর্দমা থেকে ভরাট হয়ে থাকা পরিত্যক্ত আবর্জনার মাটি নিয়ে জমি ভরাট করি। যেজন্য বহুবার নানা বাঁধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে। তাই এসব অভিযোগের সাথে আমার ন্যূনতম সম্পর্ক নেই।এসব অভিযোগ আমি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করছে। এসমস্ত সংবাদে দেশবাসী, শুভাকাঙ্ক্ষী,আত্মীয়-স্বজন ও প্রশাসনকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন প্রকৃতপক্ষে এটা সেই মহলটির নীলনকশা বাস্তবায়নের কৌশলগুলোর একটি অংশ যা শতভাগ উদ্যেশে প্রনোদিত।তাই আমি এসব ঘৃণিত অপপ্রচার কারীদের প্রতি ধিক্কার জানায়।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.