‘ভারত, চীন ও রাশিয়ার সিদ্ধান্তে দেশ চলবে না’

দেশ কিভাবে চলবে এবং কিভাবে জনগণ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে সে সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে। ভারত, চীন রাশিয়ার সিদ্ধান্তে দেশ চলবে না।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।

সমাবেশে জাসদ সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোমিনুল ইসলাম, নাগরিকের ঐকের সাধারণ সম্পাদ শহীদুল্লাহ কাউসার, জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট কেএম জাবির, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির নির্বাহী সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হোসেন রুবেল,রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদারুল আলম ভূঁইয়া, ভাসানী অনুসারী নেতা হাবিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশে বাংলাদেশ গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের যোগ দেওয়া কথা থাকলেও আসেননি তিনি।

সমাবেশ থেকে আগামী ২৫শে জানুয়ারি জেলায় জেলায় গণতন্ত্র মঞ্চ বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করে। ২৫ শে জানুয়ারি বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল এজন্য এই দিনটিকে তারা দেশের ইতিহাসে কলঙ্ক দিস হিসেবে চিহ্নিত করে কর্মসূচি ঘোষণা করে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিতেন চোরের মায়ের বড় গলা, তার মন্ত্রী-এমপিরা কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে। এখন প্রধানমন্ত্রী কি বলবেন? গত ১৪ বছরে যত লুণ্ঠন হয়েছে, মানি লন্ডারিং হয়েছে, এই টাকা থাকলে আইএমএফের ঋণ শোধ করা যেত। তাহলে আজকে এই বিদ্যুৎ সংকটসহ কোন সংকট হতো না।

তিনি বলেন, সরকারের ব্যর্থতা দুর্নীতি নিয়ে রাজপথে যখন বিরোধী দল নেমেছে তখন সরকার বিরোধীদলের ওপর জুলুম অত্যাচার শুরু করেছে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, গ্যাস উত্তোলনের জন্য যে পরিমাণ টাকা দরকার সে টাকা নেই। বিদ্যুৎ সমস্যা তারা কিভাবে করবে। এখন তারা বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করবে। শীতকাল চলছে এখন লোডশেডিং হচ্ছে। গরমের সময় কী অবস্থা হবে?

তিনি বলেন, দুর্নীতি, ঘুষ নীতির কারণে বিদ্যুতের এই অবস্থা। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো-কমানোর ক্ষমতা হাতে আর নেই। এই ক্ষমতা সরকারের প্রভুদের হাতে। তাই জনগণের পকেট কেটে এই সমস্যা সমাধান করছে।
সাকি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে সরকার গঠিত হলে জনগণের ওপর সব চাপিয়ে দিত না। এজন্য ভোটাধিকার কায়েম করতে হবে। এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। ভোটাধিকার রাষ্ট্রের ভিত্তি। এই ভিত্তি শক্ত করতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, সিরাজ শিকদারকে হত্যার পর, প্রধানমন্ত্রীর বাবা সংসদে গিয়ে বলেছিলেন কোথায় সিরাজ সিকদার। তার এই আস্ফলন টিকে নাই। আজ প্রধানমন্ত্রীও সংসদে অনেক আস্ফালন দেখাচ্ছেন। আপনিও টিকবেন না।

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, বর্তমান দেশের শাসনব্যবস্থার কাঠামো হচ্ছে শোষণের জন্য। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সুশাসন ব্যবস্থার জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। একটু ব্যবস্থার সংস্কার হলে জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পাবে। লুটপাট বন্ধ হবে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.