একটি আদালতে মামলা খারিজ হওয়ার পর একই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে একই বিষয় ভিন্ন আদালতে মামলা করায় আইনজীবী ও মামলারবাদীকে স্বশরীরে হাজির হয়ে ৭ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অভিযুক্তরা হলেন,এডভোকেট মোক্তার আহামদ ও নালীশকারী কথিত সাংবাদিক বহু মামলার আসামী ও মুন্সি নুরুল আলম সিকদার।
১ ফেব্রæয়ারী বুধবার কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেক (সদর) আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দীকি এই রায় দেন। উক্ত আদালতের নাজির শাহজাহান নুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার রেকর্ড সূত্রে জানা গেছে,গত ২০ জানুয়ারী মানহানীর ঘটনা দেখিয়ে টেকনাফ উপজেলার জাহাঙ্গির আলম,সাইফুল ইসলাম,মোজাহের মিয়া,শাহ নেওয়াজ,রাশেদুল ইমলামের বিরুদ্ধে টেকনাফ আমলী আদালতে মামলা করে কথিত সাংবাদিক ও মুন্সি নুরুল আলম সিকদার। যার মামলা নং সিআর ৪০/২৩। শুনানী শেষে মামলাটি খারিজ করে দেয় বিজ্ঞ আদালত। এর পরে কৌশলে ঘটনাস্থল পরিবর্তন করে একই বিষয়ে কক্সবাজার সিনিয়ম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতে করেন নুরুল আলম সিকদার যার মামলা নং ১৪৯/২৩।
মামলা দুটি পর্যালোচনা করে দেখো গেছে,মামলার ঘটনাস্থল ছাড়া ঘটনার বিবরণ,আসামী,বাদী সব একই তাই আপিলকারী আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফৌদারী অপরাধ করেছেন।
তাই সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উক্ত মামলার আইনজীবী এডভোকের মোক্তার আহামদ এবং বাদী নুরুল আলম সিকদারকে ৭ দিনের মধ্যে স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ান নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে জানা গেছে মামলার বাদী নুরল আলম সিকদার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতা এবং বহু মামলার আসামী এবং নাম পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিক হিসাবেও পরিচয় দিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করেন।