চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে রাশেদ-শাহজাহান

সম্মেলনের নয় মাসে অবশেষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের ৩২ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলমকে সভাপতি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. শাহজাহানকে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী তিন বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির শূন্য পদ পূরণ করে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে কেন্দ্রের অনুমোদনের জন্য জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমিটির অন্য ৩০ জন হলেন :

সহ-সভাপতি : সামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, মো. নুরুল মোস্তফা মানিক, অ্যাড. দীপক কান্তি দত্ত, রাজিবুল আহসান সুমন, মো. মিজানুর রহমান, মো. শহিদুল আলম, নাছির হায়দার করিম বাবলু, আশেক ই ইলাইহী সোহেল, মো. মোশারফ হোসেন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক: সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর আলম, মো. এরশাদ হোসেন, আব্দুল করিম।

সাংগঠনিক সম্পাদক: আবুল বসর, মো. ফোরকান, এম এ খালেদ চৌধুরী, মো. আবু তৈয়ব।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক : মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।

অর্থ সম্পাদক : ইঞ্জি. মো. শাহজাহান।

শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক : জয়নাল আবেদীন

আইন বিষয়ক সম্পাদক : বিমল চন্দ্র নাথ

ত্রাণ সম্পাদক : মো. সাহেদ সরওয়ার

সমাজকল্যাণ সম্পাদক : মো. রাশেদ খান

সাংস্কৃতিক সম্পাদক : মো. ওসমান চৌধুরী

জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক : এস এম আল নোমান

ক্রীড়া সম্পাদক : মোশারফ হোসেন মান্না।

পরিবেশ সম্পাদক : ইঞ্জি. মো. হাছান মুরাদ।

শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক : মো. আবু সৈয়দ।

সদস্য: অ্যাড. এস এম অহিদুল্লা, মো. ফজলে কাদের, বাবলু।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়েছিল ২৮ মে, উত্তর জেলার ২৯ মে এবং মহানগর যুবলীগের সম্মেলন হয়েছিল ৩০ মে। উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কমিটির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারেননি কাউন্সিলররা। কমিটির বিষয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ হয়েছিল।

ওই দিন হাটহাজারী কলেজের হল রুমে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে সভাপতি পদে ৭ জন ও ২২ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয় একজন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করার জন্য। কিন্তু দুই পদের প্রার্থীরা সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। এসময় কাউন্সিলদের উদ্দেশে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছিলেন, ‘আপনারা আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। কেন্দ্র থেকে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হবে।’

এরআগে গত ২৬ মার্চ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংগঠনিক কমিটির জন্য সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে বলা হয়। এতে সভাপতি পদের জন্য ৯ জন পদপ্রত্যাশীর আবেদন জমা পড়লেও ২ জনের প্রস্তাব ও সমর্থনকারী না থাকায় নাম বাদ পড়ে। এরআগে গত বছরের ১৬ নভেম্বর দক্ষিণ জেলায় ৩৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.