স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে নিয়ে তরুণী খুন, ১ জনের যাবজ্জীবন

 

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ১৭ বছর আগে স্ত্রী পরিচয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে এক তরুণীকে শ্বাসরোধে খুনের অভিযোগে একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামে চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন।

দণ্ডিত ইউছুফ বিন আলম নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানার চর মজিদ এলাকার জহুর আলমের ছেলে ইউছুফ। আসামি বর্তমানে পলাতক আছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।

মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৫ মে নগরীর কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোডে হোটেল ছোবাহানের ১০৬ নম্বর কক্ষ ভাড়া নিয়ে ইউছুফ বিন আলম তরুণী রিমাকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে সেখানে ওঠেন। ৭ মে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ইউছুফ রিমাকে রুমে রেখে বের হন। হোটেল কর্মচারীদের এ সময় নাস্তা আনার কথা বলেছিলেন ইউছুপ। এর পর তিনি আর হোটেলে ফেরেননি।

বেলা ১২টার দিকে হোটেলের কর্মচারীরা কক্ষ পরিষ্কার করতে গেলে ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। কক্ষের তালা ভেঙে দেখা যায়, রিমা খাটের ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।

এ ঘটনায় তৎকালীন কোতোয়ালি থানার উপপরির্দশক (এসআই) সেকেন্দার আলী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার এজাহারে রিমাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৯ আগস্ট পুলিশ ইউছুফকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৮ সালের ৮ জুন আসামি ইউছুফ বিন আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। নয় জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত আজ এ রায় দিয়েছেন।

রায়ে আদালত আসামি ইউছুফ বিন আলমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বলেন, ‘এজাহারে ধর্ষণের কথা বলা হলেও অভিযোগপত্রে এ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। শুধুমাত্র হত্যার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আদালতে সেটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়েছে। দণ্ডিত পলাতক আসামির বিরুদ্ধে আদালত সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।’

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.