পটিয়ায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালন

 পটিয়া প্রতিনিধি

বিদ্যুৎ-গ্যাস-নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতির প্রতিবাদ ও অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে সারা দেশের ন্যায় শনিবার চট্টগ্রামের পটিয়ায়ও দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে পটিয়া উপজেলা বিএনপি। পটিয় উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলে। এসময় উপজেলা, পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি নেতারা অংশ নেন। পটিয়া পৌর বিএনপির আহবায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এনামুল হক এনাম। এদিকে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর থেকে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক জোট যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে। তারা ধারাবাহিকভাবে গণমিছিল, অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ সমাবেশ, বিভাগীয় সমাবেশ, মানববন্ধন কর্মসূচি করছে যুগপৎভাবেই। গত ১৮ মার্চ সর্বশেষ তারা সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ ও রমজানে ধারাবাহিকভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করে। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল ইউনিয়ন পর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপি নেতারা। অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন, গাজী আবু তাহের, মফজল আহমদ চৌধুরী, আবুল ফয়েজ, এ কে এম জসিম উদ্দিন, সৈয়দ মনির আহমদ সেলিম, মঈনুল আলম ছোটন, কলিম উল্লাহ চৌধুরী, আবদুল মাবুদ, তৌহিদুল আলম তৌহিদ, হাজি ইব্রাহীম সওদাগর, শাহজাহান চৌধুরী, হামিদুর রহমান পিয়ারু, হারুনুর রশীদ চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান চেয়ারম্যান, জামাল হোসেন চেয়ারম্যান, শরীফ উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আকতার, আবদুর রহিম, জসিম উদ্দিন, দিদারুল আলম,মনজুর আলম, আবদুর রহিম, নুরুল হুদা, জসীম উদ্দিন, মিজানুর রহমান, ইব্রাহীম, আবদুল করিম, জাসাস নেতা নাসির উদ্দীন, নুরুল আলম, নাজিম উদ্দীন, আবসার উদ্দিন, ইয়াসির আরাফাত, অহিদুল আলম পিবলু, জাবেদ, মীর সাইফু, আবদুল কাদের প্রমুখ। অবস্হান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনামুল হক এনাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেনি। তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। ১৪ বছর ধরে তারা দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কবজা করে রাখছে এবং একই সাথে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, লুটপাটের রাজনীতি করছে। সরকারি প্রশাসন প্রতিষ্ঠান গুলোকে সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থা দলীয়করণ করা হয়েছে। একইভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছেন, লড়াই করছেন। প্রায় ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.