স্পোর্টস ডেস্ক
শেষবার জোসে মোরিনহোর হাত ধরে ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল ইন্টার মিলান। আর সেবারই শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালও খেলেছিল ইন্টার। এর ঠিক ১৩ বছর পর এসে আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলান। সেমিফাইনালের দুই লেগেই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বি এসি মিলানকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ইন্টার।
সান সিরোয় মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লটারো মার্টিনেজের একমাত্র গোলে জিতেছে ইন্টার। প্রথম লেগে ২-০ ব্যবধানে জেতা ইন্টার দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় জায়গা করে নিয়েছে শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে।
২০০৯-১০ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল ইন্টার। সেবারই নিজেদের তৃতীয় ও শেষ শিরোপা জিতেছিল তারা। ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠবার ফাইনালে ওঠার পথে দলটি গড়ল দারুণ এক কীর্তি। নিজেদের ইতিহাসে কেবল দ্বিতীয়বারের মতো এক মৌসুমে চারবার হারাল মিলানকে।
গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকা এসি মিলান সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। আর শেষ পর্যন্ত পুড়িয়েছে সেই গোল মিসের মহড়ায়। অন্যদিকে শুরু থেকেই রক্ষণ ঠিক রাখা ইন্টার ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে এই অর্ধের প্রথম ভালো সুযোগেই এগিয়ে যায় দলটি। প্রতি আক্রমণে রোমেলু লুকাকুর কাছ থেকে বল পেয়ে প্রথমবার শট নিতে পারেননি লটারো মার্টিনেজ। পরেরবার বল ফিরে পেয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
১-০ গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার। এরপর আরও বেশি রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে ইন্টার। শেষ দিকের এলোমেলো ফুটবলে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি মিলান।
২০০৪-০৫ মৌসুমের পর প্রথম ফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে লড়াইয়ে নামা এসি মিলানের অপেক্ষা আরও বাড়ল। সঙ্গে হলো তিক্ত এক অভিজ্ঞতা। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইন্টারের বিপক্ষে টানা চার ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হলো তারা।
বুধবার রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলবে ইন্টার।