রুহি-মাদানীর নেতৃত্বে আসছে হেফাজতের নতুন কমিটি !

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর বিরোধী শক্তির লোকজন দিয়ে বারবার কমিটি গঠন করতে গিয়ে সফল না হলেও হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাঈনুদ্দিন রুহিকে আমির ও প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পুত্র মাওলানা আনাস মাদানীকে মহাসচিব বাবুনগরীর অনুসারীদেও কিছু অংশ নিয়ে কমিটি গঠনের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন। তবে হেফাজতের আমির রুহি না আনস মাদানী এটা নিয়ে বির্তক রয়েছে। আনাস মাদানীর বিরুদ্ধে আর্থিক বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠায় তাকে হেফাজতের শীর্ষ পদে রাখা নিয়ে শফীর অনুসারিদের মধ্যে আপত্তি রয়েছে। অন্যদিকে বাবুনগরীর কমিটির বড় একটি অংশ বিশেষ করে যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হকের মত পরিচিত ও জনপ্রিয় বক্তাদের কমিটিতে আনার কাজ করে যাচ্ছে একটি গ্রুপ। রুহি-মাদানীর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হতে পারে বলেও সূত্রে জানায়। আল্লামা শফীর পুত্র আনাস মাদানীকে নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হয়ে আল্লামা শফীর আরেক পুত্র মাওলানা ইউসুফ মাদানীকে সামনে এনে কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও  হেফাজতের ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আমিনী, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব ও হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ও হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহী। বেফাকের সাবেক কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সলিমুল্লাহ,আল্লামা শফীপন্থী হেফাজতে ইসলামের অন্যতম উদ্যোক্তা মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহি। সিনিয়র আলেমদের মধ্যে বেফাকের সাবেক মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা নুরুল আমীন, মাওলানা সলিমুল্লাহ, মুফতি ফয়জুল্লাহ, এদের মধ্য থেকে কেউ আমির, কেউ মহাসচিব হতে পারেন। তবে, এ ক্ষেত্রে আহমদ শফীর বড় পুত্র মাওলানা ইউসুফের নামও তালিকায় আছে বলে দাবি আরেক আলেমের। বাবুনগরীর বিরোধি কমিটিতে সারা দেশে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত, কারাগারে আটক, হেফাজতের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীরকে হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে নতুন কমিটিতে ভিড়ানোর প্রচেষ্ঠায় কাজও করছেন আর একটি গ্রুপ। এ বিষয়ে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা আনোয়ার হোসাইন রাব্বানী বলেন, মামলা, হামলা, জেল, জুলুম নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে হেফাজতকে ভাঙ্গা সম্ভব না। এর আগেও পাল্টা কমিটি গঠন করার জন্য একাধিবার দিন তারিখ ঠিক করেও তারা কমিটি করতে পারেনি। তাদের ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি আগামীতেও দেবে না, শেষ পর্যন্ত তারা হেফাজতের মূল ধারার সাথে যুক্ত কাজ করবেন বলে তিনি আশা করেন। হেফাজত ইসলাম দ্বীন ও ধর্ম রক্ষার আন্দোলনের সংগঠন এটা কোন ব্যক্তির সংগঠন না, লক্ষ লক্ষ মুসলমান হেফাজতের শক্তি। হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মাঈনুদ্দিন রুহি বলেন, কমিটি গঠনের দিন তারিখ এখনো ঠিক হয়নি, তবে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন জেলার কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী বলেন, তারা আগেও কমিটি গঠন করার অনেক চেষ্টা করছিল, পারেনি, এখনো পারবে না, কেউ অসন্তোষ হলে পাল্টা কমিটি করতে পারে, করার সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে কিন্তু তাদের উপর সাধারণ কর্মী সমর্থকদের আস্থা বিশ্বাস কতটুকু আছে সেটাও জানার বিষয়।